বান্দরবা‌নের রুমায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

আধিপত্য বিস্তারের জেরে সশস্ত্র দু'গ্রুপের গোলাগু‌লি

বান্দরবান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:০৩ অপরাহ্ণ

আধিপত্যের জেরে বান্দরবা‌নের রুমায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনের গোলাগুলিতে নিহত একজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এবং পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত মঙ্গলবার দিনভর ব্যাপক গোলাগুলি হয়।

গতকাল বুধবার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে কয়েকজন আহত এবং একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যৌথবাহিনী একজনের লাশ দেখতে পায়।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে নিহতের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তিকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

স্থানীয়দের দাবি, বন্দুকযুদ্ধে রামথাং বম নামের একজন মারা গিয়েছিল বলে তারা শুনেছেন। তার বাড়ি রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইখ্যং পাড়ায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, পাহাড়ের সশস্ত্র দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল থেকে মাটি খুঁড়ে একজনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রামথাং বম নামের একজনের মৃত্যুর কথা শোনা গেলেও উদ্ধার হওয়া লাশটি তার কি না নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের পর ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে। গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে, পাহাড়ের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এবং পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক-এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনায় মুয়াল‌পি পাড়াসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি পাড়া পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গতঃ চলতি মাসের সাতই এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতান পাড়া এলাকায় পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএ)-এর সাথে অস্ত্রধারী আরেকটি গ্রুপের গোলাগুলিতে ৮ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে সাতজন কেএনএ সশস্ত্র সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-৮ উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন