বান্দরবানে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের মাঝে ২ জন কারাগারে এবং অপরজন পলাতক রয়েছে।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূইঁয়ার আদালত এই আদেশ দেয়।
আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালের ১১ এপ্রিল জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দার গোলাম কাদেরের পুত্র আব্দুর রহমানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জহির আহাম্মদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর উভয়পক্ষের যু্ক্তিতর্ক শুনানি শেষে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূইঁয়ার আদালত অভিযুক্ত ৩ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। একই সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো মো. নুরুল কবির প্রকাশ নুরাইয়া, ফয়েজ্জ এবং গিয়াইস।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ইকবাল করীম বলেন, “অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত দু’জন আসামী জেল হাজতে রয়েছে। অপর আসামী মো. নুরুল কবির প্রকাশ নুরাইয়া পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।”
মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই জহির আহাম্মদ বলেন, “নববিবাহিত স্ত্রীকে আমাদের না জানানোর কথা বলে রাতে বাসা থেকে বেরিয়েছিল ছোট ভাই। পরের দিন সকালে রাস্তার পাশে ভাইয়ের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। পরিকল্পিতভাবে তারা আমার ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।”