দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, “আজ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময়। এ পর্যন্ত সাতটা দলের আবেদন পেয়েছি। আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ নির্বাচন করবে। আর সভাপতির স্বাক্ষরে তারা নমিনেশন দেবে।জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ)।”
এক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ কোন কোন দলের সঙ্গে জোট করবে এ কথা তাদের চিঠিতে বলা নেই। দু’টি দল পৃথকভাবে বলেছে তারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে। সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে করবে বলেছে। গণতন্ত্রী পার্টিও নৌকা প্রতীকে ভোট করবে বলে চিঠি দিয়েছে।”
জাপা’র দু’টি চিঠি এসেছে।
একটিতে জিএম কাদের বলেছেন, তার সইয়ে মনোনয়ন হবে। আবার রওশন এরশাদ বলেছেন, তারা জোটে ভোট করবেন। কোনটি আমলে নেবেন জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “এটা কমিশন দেখবে। দু’টি চিঠি এসেছে। কমিশন যেটা আমলে নেয়।”
সাইনিং অথরিটি কে হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাধারণত দলের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব সাইনিং অথরিটি হন।”
জিএম কাদের সাইনিং অথরিটি হলে বিবেচনা কী হবে-এ প্রশ্ন করা হলে অশোক কুমার দেবনাথ এটা কমিশন বলতে পারবে বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।