কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সহজেই ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা।
পেনাল্টিতে খেলার ৩৪তম মিনিটে ১ম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধের ৩৯তম মিনিটে ২য় গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। বিরতির পর খেলতে নেমে খেলার আরও এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালের খুব কাছে নিয়ে যান তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে সতীর্থ থেকে বল পেয়ে ক্রোয়াট ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে নেন মেসি। বাইলাইন থেকে পাস দেন আলভারেজকে। দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভোলেননি ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড।
এর আগে দুই দলই ম্যাচ শুরু করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে। ক্রোয়েশিয়া শুরুতে আর্জেন্টাইন রক্ষণে হানা দিলেও কার্যকর কোনো শট নিতে পারছিল না। উল্টো গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে আর্জেন্টিনা। এর ফলও আসে ৩৪তম মিনিটে।
বল নিয়ে গোলমুখে ছুটতে থাকা হুলিয়ান আলভারেজকে ঠেকাতে গিয়ে বক্সেই ফাউল করে বসেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। আর তা থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে এটা তার ১১তম গোল।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপে এখন সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনি। আগের ম্যাচে গোল করে তিনি ছুঁয়ে ফেলেছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। এবার সাবেক ফরোয়ার্ডকে ছাড়িয়ে গেলেন মেসি।
তার ওই গোলে বড় ধাক্কা খায় ক্রোয়েশিয়া। কারণ রক্ষণ কিছুটা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। আর সেই সুযোগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা।
৩৯তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মেসি বল বাড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের বক্সের কাছাকাছি থাকা আলভারেজের দিকে। বল পেয়েই সোজা ক্রোয়াটদের রক্ষণে ঢুকে পড়েন আলভারেজ। কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কাছ থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন তরুণ স্ট্রাইকার।
এরপর প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে অল্পের জন্য গোলের দেখা পায়নি ক্রোয়েশিয়া। ফলে দুই গোল হজম করেই বিরতিতে যায় তারা।