র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার আগে সম্ভব হলে বাহিনীটির সাত কর্মকর্তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে র্যাব ইস্যুতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, “আমরা র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলেছি। র্যাবের নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রর ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে র্যাব ইস্যুতে আমরা আমাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছি ল’ফার্মের মাধ্যমে। আমরা আশা করছি যে, যত দ্রুত ব্যক্তি বিশেষ যেসব নিষেধাজ্ঞা আছে যেন তুলে নেওয়া হয়।”
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “ব্যক্তি বিশেষ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়বে এবং একটা সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, এতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে তারা।”
ব্যক্তি বিশেষের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব কেন দিলো বাংলাদেশ— এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “র্যাব বাহিনীর সংস্কারের ইস্যুগুলো তো সময় লাগবে। ওদের যে লিগ্যাল প্রসেস আছে, ওটার ওপর দিয়ে আমরা এগোচ্ছি। যদি কোনো সুযোগ থাকে, ইন্সটিটিউশনের জন্য সময় লাগবে বা দেরি হবে, সেটার জন্য ব্যক্তির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আগে তুলে নিলে সেটা সহজ হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে আগে তুলে নিল বা ইনস্টিটিউশনেরটা তুলে নিল। যেটা আগে আসে সেটাই আমরা করব।”
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীটির ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।