ভালো মানুষকে হারানো সবচেয়ে বড় ভুল –কারণ এই ভুলটা বুঝতে হয় সবকিছু হারানোর পর। এই দুনিয়ায় অনেক মানুষ আসে প্রয়োজন নিয়ে, কিন্তু খুব অল্প মানুষই আসে নিঃস্বার্থ হয়ে। ভালো মানুষ সেই বিরল মানুষদের একজন, যারা নিজের কষ্ট ঢেকে রেখে অন্যের শান্তিকে গুরুত্ব দেয়। ভালো মানুষ সহজে রেগে যায় না, সহজে ছেড়ে যায় না, সহজে মুখ ফিরিয়ে নেয় না। তারা বারবার ভাঙে, তবুও সম্পর্কটাকে টিকিয়ে রাখতে চায়। এই নীরবতাকে অনেকেই দুর্বলতা ভাবে। কিন্তু সত্যটা হলো –এই নীরবতার পেছনে থাকে গভীর বিবেক, অসাধারণ ধৈর্য আর মানুষ হিসেবে মানুষকে আগলে রাখার শক্তি। যতোই কষ্ট হোক, যতোই অবহেলা আসুক, যতোই সম্পর্ক একপেশে হয়ে উঠুক ভালো মানুষকে নিজের আয়ত্তে রাখতে পারা অত্যন্ত বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ ভালো মানুষ কখনো হিসাব করে না। কে কতটা দিলো, কে কতটা নিলো –এই তালিকা তাদের নেই। কিন্তু একদিন যখন তারা সরে যায়, তখন শূন্যতা তৈরি হয় যা কিছু দিয়েই পূরণ করা যায় না। খারাপ মানুষ দরকারে পাশে থাকে, ভালো মানুষ প্রয়োজন ছাড়াই পাশে থাকে। তারা চুপচাপ আসে, নিঃশব্দে আগলে রাখে, আর আলো না জ্বালিয়েই জীবনটাকে আলোকিত করে। ভালো মানুষ খুব বেশি পাওয়া যায় না। তাই তাদের কষ্ট দিয়ে যাচাই কোরো না, নীরবতাকে দুর্বলতা ভেবে ভুল কোরো না। সম্মান দিয়ে আগলে রাখো –কারণ ভালো মানুষকে ধরে রাখতে পারাই সবচেয়ে বড় বুদ্ধিমত্তা। আর একটা কথা মনে রেখো –ভালো মানুষ একদিন হঠাৎ বদলে যায় না। তাদের ধৈর্য শেষ হয় ধীরে ধীরে, অবহেলা জমতে জমতে পাহাড় হয়, অপ্রাপ্ত সম্মান জমে জমে ক্লান্তি হয়ে ওঠে। যেদিন তারা চুপচাপ সরে দাঁড়ায়, সেদিন কোনো অভিযোগ থাকে না, থাকে শুধু গভীর নীরবতা। সেই নীরবতার শব্দ সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। কারণ তখন আর বোঝানোর সুযোগ থাকে না, আর সংশোধনের সময়ও থাকে না। তাই আজই মূল্যায়ন করো। আজই বুঝে নাও –ভালো মানুষ পাশে থাকা মানে জীবনে এক টুকরো আশীর্বাদ থাকা। তাদের যত্ন নাও, সম্মান দাও, কারণ ভালো মানুষ হারালে পরে বুঝলেও আর কিছু করার থাকে না।












