বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামীকাল (আজ) থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হবে এবং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হচ্ছে আগামীকাল। তারেক রহমানের হাতেই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি, তা এখন বাস্তবায়িত হবে। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু গতকাল বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে লেখা বইটি সম্পাদনা করেছেন লেখক ও সাংবাদিক মারুফ মালিক ও এহসান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। খবর বাসসের।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আমি ‘ঐক্য’–এর চেয়ে ‘জোট’–এর ধারণাকে বেশি পছন্দ করি। একটি জাতি সব সময় এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ নাও হতে পারে; কিন্তু যদি আমরা জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বা জোট গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের দিকে এগোনো সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির গণতায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খসরু বলেন, তারেক রহমানের দৃষ্টিভঙ্গি হলো– সরকার একা সব কিছু করতে পারে না। সরকারকে বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে আনতে হবে। এটি একটি সমন্বিত পরিকল্পনা, যেখানে কোন খাতে, কোথায় এবং কীভাবে সবাই কাজ করবে, তার রূপরেখা দেওয়া আছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব মোর্শেদ বলেন, এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠকেরা প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবেন। শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর বাংলাদেশের মানুষের সামষ্টিক মানসিকতায় একটি বড় পরিবর্তন এসেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন লেখক এহসান মাহমুদ, কবি রাসেল রায়হান, কবি জব্বার আল নাঈম, লেখক সালাহউদ্দিন শুভ্র, প্রকাশক সাঈদ বারী এবং লেখক দীপায়ন খিসা, প্রমুখ।
বইটিতে প্রবন্ধ লিখেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন, হুমায়ুন কবির, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, গাজী তানজিয়া, ফারুক ওয়াসিফ, ড. মারুফ মালিক, মাহবুব মোর্শেদ, সালাহউদ্দিন শুভ্র, এহসান মাহমুদ, জব্বার আল নাঈম, সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান এবং রাসেল রায়হান। এ ছাড়া কবিতা ও ছড়া লিখেছেন আবু সালেহ, এনায়েত রসুল, আবদুল হাই সিকদার এবং রেজাউদ্দিন স্তালিন।












