অসুস্থতা নিরাময়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। অনেকে ফার্মেসী থেকে বুঝিয়ে ওষুধ নেন, সামর্থ্যের অভাবে। কিন্তু কিছু অসাধু ও লোভী ওষুধ কোম্পানি সামর্থ্যের অভাবকে কেন্দ্র করে লাইসেন্স বিহীন ওষুধ বাজারে সরবরাহ করে এবং বিক্রি করতে ও প্রেসক্রাইব করতে ডাক্তার – দোকানদারকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে থাকেন। ফলে নিরাময়ের চাইতে শরীরে নতুন রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে জ্যামিতিক হারে।
রোগীর সিরিয়ালে ভরপুর, অথচ ডাক্তারের সাথে আলাপচারিতায় ওষুধ কোম্পানির লোকবল। এতে লোকজন অতিষ্ঠ হচ্ছে রীতিমতো। ওষুধ কোম্পানিগুলো মার্কেটিং এ পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করে দোকানদার ও ডাক্তারদের হাতের নাগালে নিয়ে আসছে। ফলে অনিবন্ধিত ওষুধগুলোর প্রেসক্রাইবের ফলে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্মর মেধা বিকাশে, শারীরিক গঠনে, হরমোন বৃদ্ধিতে।
এ দায় কার? প্রশাসন, সচেতন নাগরিক, ওষুধ কোম্পানি নাকি ওষুধ কোম্পানির এমআর–দের। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের জরুরি ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তা না হলে ভুল ওষুধের ক্ষতিকারক দিক ছেঁয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
মুহিবুল হাসান রাফি
শিক্ষার্থী,
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ।









