মহেশখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকারিভাবে দেওয়া কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপকারভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার অপরাধে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার আজিজুর হককে গ্রেপ্তার করে ২ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আজিজুল হক হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের মৃত আবছার মিয়ার পুত্র।
অভিযোগে জানা যায়, ডিলার আজিজুল হক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের জন্য উপকারভোগীদের মাঝে কার্ড বিতরণকালে কার্ডপ্রতি ২০০ টাকা করে অবৈধভাবে টাকা নেন। বিষয়টি হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম সিকদার তাৎক্ষণিকভাবে ডিলারকে কার্ড বিতরণকালে হাতেনাতে ধরে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান মাহমুদ ডালিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট আবু জাফর মজুমদার এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আওয়াই মং চাক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরজমিনের তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ডিলার আজিজুল হকের দুই মাসের সাজা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, উপজেলা খাদ্য অফিসের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার আজিজুল হক উপকারভোগীদের নিকট থেকে বেআইনীভাবে প্রতিজনের কাছ থেকে ৩ শত টাকার বিনিময়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণ করছিলেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আওয়াই মং চাক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। অভিযোগের সত্যতা উদঘাটিত ও প্রমাণিত হওয়ায় এবং অভিযুক্ত ডিলার তার দোষ স্বীকার করায় তাকে মোবাইল কোর্টের আওতায় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় এবং আইন ভঙ্গ করায় ২ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এঙিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু জাফর মজুমদার। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেন তিনি।












