থানা থেকে লুন্ঠিত ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব-নাজমুল মোস্তফা আমিন

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১২:১০ অপরাহ্ণ

সংসদ নির্বাচনের আগেই থানা থেকে লুন্ঠিত ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন এ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। 

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর সাতকানিয়ায় ডাবল মার্ডার হয়েছে, প্রকৃত দোষীরা এখনও অধরা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে লুন্ঠিত ও অবৈধ অস্ত্র। প্রায় দিন বিভিন্ন অজুহাতে আক্রান্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। যে কোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলেই মানুষকে শিকার হতে হচ্ছে নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতনের। যার ফলে সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত। নিশ্চিন্তে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা সন্দিহান ভোটাররা। তাই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিকল্প নাই।

নাজমুল মোস্তফা আমিন সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। 

বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, শুধু  সাতকানিয়ায় কথায় কথায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হরহামেশাই ঘটছে তা কিন্তু নয়; লোহাগাড়া উপজেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্বাচন কমিশনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান- এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে অস্ত্র উদ্ধারে সাঁড়াশি ও চিরুনি অভিযান চালাতে হবে। না হয় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের ভোট দান থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করবে নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রকারীরা। 

এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা আমীন বলেন, আমি তথা বিএনপির পক্ষ থেকে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ভোটাররা লাইন ধরে সুষ্ঠু ও নিরাপদে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেই ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। ভোটারদের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান এখন থেকে ভোটারদের ভয় মুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপি খেটে খাওয়া মানুষের দল। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার সম্পর্ক সেই শুরু থেকেই। খাল কেটে কৃষকদের ভাতের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। 

এসময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জসিম উদ্দিন আবদুল্লাহ, জান্নাতুল নাঈম রিকু, এডভোকেট এরশাদুর রহমান রিটু, নুরুল কবির বাদশা, হাজী আহমদ কবির, এডভোকেট দেলোয়ার হোসাইন, এডভোকেট হাফিজুল ইসলাম মানিক, শাহাব উদ্দিন রাশেদ, হাসান আলী, সাজেদুল আলম মিঠু, হাজী আবু তালেব, মো.শফি সও., মো.ইব্রাহিম মেম্বার, মোদাচ্ছির আলম, জুনাইদুল হক চৌধুরী ও মো.আরিফ প্রমুখ। 

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-১১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী নুর উদ্দিনের মনোনয়ন সংগ্রহ
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে পৃথক অভিযানে ৭ মামলায় ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড