ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগের লক্ষ্যে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী প্রবাসী ভোটারদের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল শনিবার ও আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মোট ১০টি দেশের ৪১ হাজার ৫৪৩ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে বলে বাসসকে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের বিষয়ে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের কাছে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার তিনটি দেশে এবং শনিবার সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ করা হয়েছে।
ইসির পরিপত্রে বলা হয়েছে, পোস্টাল ভোট বিডি মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধিত সকল ভোটারের নিকট পর্যায়ক্রমে ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত ভোটারগণ প্রদত্ত ঠিকানায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রেরিত পোস্টাল ব্যালটসহ খাম পাবেন। খাম প্রাপ্তির পরপরই ভোটারগণ পোস্টাল ভোট বিডি মোবাইল অ্যাপ এ লগইন করে খামের উপর প্রদত্ত কিউআর কোডটি স্ক্যান করবেন। এতে তিনি যে ব্যালট পেপারটি হাতে পেয়েছেন তা সিস্টেমে শনাক্ত হবে। ভোটারগণ নির্বাচন কমিশন হতে প্রাপ্ত বহির্গামী খামে (ফরম–৯) একটি পোস্টাল ব্যালট সম্বলিত খামের (ফরম–১০ ক) মধ্যে পোস্টাল ব্যালট পেপার (ফরম–৭), একপাশে ভোট প্রদানের নির্দেশাবলি (ফরম–১১) ও অপর পাশে একটি ঘোষণাপত্র (ফরম–৮) সম্বলিত একটি পৃথক কাগজ এবং একটি ফেরত খাম (ফরম–১০) পাবেন যেখানে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত থাকবে। ভোটারগণকে প্রেরিত পোস্টাল প্যাকেজের বিবরণ সংযুক্তি–৩ এ সন্নিবেশিত।
পোস্টাল ভোট প্রদান ও ব্যালট পেপার ডাকযোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রেরণ : ইসির পরিপত্রে বলা হয়েছে, (ক) পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়ায় প্রেরিত ব্যালট পেপারে সকল প্রতীক মুদ্রিত থাকবে যার প্রতিটি প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘর রয়েছে। ভোটাধিকার প্রয়োগের পূর্বে ভোটারগণ নির্দেশনাপত্র পড়ে ঘোষণাপত্রে যথাযথভাবে ব্যালট পেপারের ক্রমিক নং, ভোটারের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে প্রদত্ত স্থানে স্বাক্ষর করবেন। নিরক্ষর/অক্ষম ব্যক্তি অন্য একজন বৈধ ভোটারের সাহায্যে ফরম–৮ এর সংশ্লিষ্ট অংশ করত : সত্যায়ন করে স্বাক্ষর করবেন। এই ঘোষণাপত্র অথবা সত্যায়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ছাড়া ব্যালট পেপারটি বৈধ হিসাবে গণ্য হবে না। (খ) প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হলে অ্যাপ–এর মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট হতে ভোটারগণ অবগত হবেন। ভোট প্রদানের জন্য ভোটারগণ পোস্টাল ভোট বিডি মোবাইল অ্যাপ–এ লগইন করে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থীদের তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশিকাতে প্রদত্ত পদ্ধতিতে ব্যালট পেপারে (ফরম–৭) মুদ্রিত প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক চিহ্ন কিংবা ক্রস চিহ্ন প্রদান করবেন। পোস্টাল ভোট বিডি মোবাইল অ্যাপ–এ ভোটদান পদ্ধতির ভিডিও টিউটোরিয়াল বা ডিজিটাল কন্টেন্ট থাকিবে।
(গ) পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোটার ভোট চিহ্নিত করবার পর শুধুমাত্র ব্যালট পেপারটি ছোট খামে (ফরম–১০ক) রেখে খামটি বন্ধ করবেন, অত:পর উক্ত ব্যালট পেপার সম্বলিত খামটি এবং স্বাক্ষরিত ঘোষণপত্রটি রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত খামে (ফরম–১০) প্রবেশ করিয়ে তা বন্ধ করে বন্ধকৃত খামটি ডাকযোগে দ্রুত প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উভয় খামই সেলফ এডহেসিভযুক্ত থাকবে ফলে সেলফ এডহেসিভ অংশের উপরিভাগের টেপটি খুলে নিলেই খাম বন্ধ হবে। এছাড়া উক্ত খামটি পাঠানোর জন্য কোন ডাক মাশুল প্রেরককে প্রদান করতে হবেনা। এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিশোধিত থাকবে। পোস্টাল ভোট গণনা শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট পেপার সমূহই কেবল গণনার আওতায় আসবে।
(ঘ) নির্বাচন কমিশন হতে কেন্দ্রীয়ভাবে পোস্টাল ব্যালট ভোটারের নিকট প্রেরণের পর হতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট ফেরত আসা পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটির বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যালটের অবস্থান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ভোটারগণ স্ব স্ব মোবাইল হইতে পোস্টাল ভোট বিডি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে নিজ ব্যালটের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।












