চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় পাহাড় খেকোদের হাত থেকে চট্টগ্রামকে বাঁচাতে হবে। কারণ পাহাড় ভূমিকম্প প্রতিরোধে প্রাকৃতিক সুরক্ষা প্রদান করে। তিনি গতকাল রোববার নগরীর একটি হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় ও ইপসা আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাহাড়ধস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আগাম প্রস্তুতি কর্মপরিকল্পনা যাচাই’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভায় চসিকের পাহাড়ধস প্রবণ ৪টি ওয়ার্ড ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নং শুলকবহর, ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ও ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের প্রণয়নকৃত ‘এ্যান্টিসিপেটরি এ্যাকশন প্ল্যান’ উপস্থাপন করেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মনিটরিং এণ্ড রিচার্স) মোরশেদ হাসান মোল্লা ও প্রকল্প কর্মকর্তা শাহরিয়ার আলম। মেয়র বলেন, পাহাড় খেকোদের হাত থেকে চট্টগ্রামকে রক্ষা করা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বিচারে পাহাড় কাটা শুধু পরিবেশ ধ্বংসই করছে না, এটি সরাসরি মানুষের জীবননাশের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ভূমিধস কোনো প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা নয়, এটি মূলত মানুষের অবিবেচক কর্মকাণ্ডের ফল। তাই আগাম প্রস্তুতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি অবৈধ পাহাড় কাটা ও অনিয়ন্ত্রিত বসতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাহাড় রক্ষা, পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর নিরাপদ পুনর্বাসন এই তিনটি বিষয় একসাথে বাস্তবায়ন না করলে নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়া সম্ভব নয়। এই বাস্তবতায় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন প্ল্যান আমাদের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, কারণ এটি দুর্যোগের পূর্বে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ভূমিধস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আর কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়; এটি চট্টগ্রামের দৈনন্দিন উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অবশ্য পালনীয় অংশ। আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, কমিউনিটি প্রস্তুতি, অবকাঠামো সুরক্ষা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ, এসব ছাড়া নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়া সম্ভব নয়।












