দুবাই প্রবাসী আনোয়ার আজাদ স্থানীয় পত্রিকার হকার অজিত কৃঞ্চ দাশকে (৫৭) উপহার স্বরুপ একটি ফনিক্স ব্রান্ডের বাইসাইকেল প্রদান করেছেন। গতকাল শনিবার হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ.আবদুল্লাহ আল মুমিন হকার অজিত কৃঞ্চ দাশের হাতে সাইকেলের চাবি তুলে দেন।
জানা যায়, হকার অজিত কৃঞ্চ দাশ দীর্ঘ ৪২ বছর যাবত একটি পুরাতন সাইকেল দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। নিজ বাড়ী পাশ্ববর্তী রাউজান উপজেলায় হলেও তিনি হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সকাল থেকে সেই ভাঙা সাইকেল দিয়ে পত্রিকা বিক্রির কাজে বের হতেন। অজিত কৃঞ্চ দাশের সেই কষ্টের দৃশ্য স্থানীয় সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুলের চোখে পড়লে বিষয়টি তিনি ফেসবুকে লাইভ ও জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরেন।
সেই লাইভ ও পত্রিকার নিউজ দেখে মেখল ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী আনোয়ার আজাদ খোরশেদ আলম শিমুলের সাথে যোগাযোগ করে ওই হকারকে একটি ভালো ব্রান্ডের নতুন সাইকেল দেয়ার ইচ্ছার কথা জানান। এদিকে নতুন সাইকেল পেয়ে হকার অজিত কৃঞ্চ দাশ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে আমি প্রবাসী আনোয়ার আজাদসহ যিনি বিষয়টি সকলের নজরে আনেন সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুল ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করছি। আসলে ডিজিটাল যুগ আসায় এখন পত্রিকা বিক্রি আগের মতো নেই। এখন স্মার্ট ফোনেই সবার আগে খবর পেয়ে যায়। দিন দিন পত্রিকার পাঠক কমে যাওয়ায় আমরা এখন বেকায়দায় আছি। নেই তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা।
হকারদের যদি সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেয়া যেতো তাহলে আমরা একটু ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারতাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, এই প্রবাসী যেভাবে পত্রিকা হকার অজিত দাশের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এভাবে সমাজের বিত্তবান প্রতিটি মানুষ যদি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সমাজ আরো সুন্দর হবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুণ ত্রিপুরা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নিয়াজ মোর্শেদ, প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুল, দপ্তর সম্পাদক মো.আলাউদ্দিন, সদস্য মোহাম্মদ পারভেজ, সাইকেল প্রধান কারীর পক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গ্রন্থাগার সহকারী মো.মিজানুর রহমান (মিন্টু), হাফেজ হাবিবুল্লাহ, মো.হাবিল্লাহ (রনি) প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট হকার নিয়ে ‘৪২ বছর ধরে পত্রিকা ফেরির করে বেড়ানোর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়।












