ষড়যন্ত্র চলছে, নির্বাচন অতো সহজ হবে না : তারেক রহমান

আমরা যদি নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে

| রবিবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

ষড়যন্ত্র থেমে নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন অতো সহজ হবে না। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির এক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, যে কথাটা আমি আগে বলেছিলাম যে, নির্বাচন অতো সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই।

তারেক রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর উপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা, এই সবকিছু নিয়েই কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে যে, যা আমি বলছিলাম তা কিন্তু সত্য হচ্ছে আস্তে আস্তে। কাজেই আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আনি, আমরা যদি নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, বলেন তারেক রহমান। খবর বিডিনিউজের।

প্রত্যেকবার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বিএনপি উদ্ধার করেছে দাবি করে তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে, প্রত্যেকবার আপনারা, কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো এখনই থেমে থাকবে না। আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না, আমাদেরকে আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না। আমাদেরকে মানুষদের সাহস দিতে হবে, আমাদের নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দেশের সাধারণ গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হবো, আমরা যত সামনে এগিয়ে আসবো, যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবেএই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের পিছু হটানোর ক্ষমতা ও শক্তি একমাত্র বিএনপির আছে বলে দাবি করেন তারেক রহমান।

চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে ঘটনা ঘটেছে, গতকাল একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লুটার অবশ্যই প্রচেষ্টা হচ্ছেতাই মনে হয় না আপনাদের?

ফার্ম গেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই কর্মশালায় খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্য প্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপির প্রণীত পরিকল্পনাগুলো এবং সেসব বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এখন আমাদের সময় এসেছে, আমি কি পেলামএটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজ সময় এসেছে, নিজে কী পেলাম, এটা ভুলে যাওয়ার।

তিনি বলেন, আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন কিংবা করতে পারেন, কি দিতে পারলাম, কি দিচ্ছি দেশ এবং জাতিকেতাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতি, এরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।

ধারাবাহিক কর্মশালার সপ্তম দিনের এই আয়োজনে বিএনপির মাঠ পর্যায়ে নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদেরকে জিততে হবে, এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদেরকে জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আসুন, তিনটি বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা চাই। ইনশাল্লাহ আমি পাবো। দেখা হবে যুদ্ধের মাঠে, দেখা হবে সংগ্রামের মাঠে, দেখা হবে আপনাদের সাথে ভোটের ময়দানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওমান উপসাগরে ট্যাঙ্কার জব্দ, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রুকে আটক করেছে ইরান
পরবর্তী নিবন্ধপানি সঙ্কটে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর উৎপাদন শুরু