গাজীপুরের শ্রীপুরে মাকে মারধর করায় খলিল (২৮) নামের এক যুবককে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রেখে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির আহমেদ।
খলিল উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামের নূর উদ্দিন ও খোদেজা খাতুনের ছেলে। খোদেজা খাতুন বলেন, আমার সন্তান নেশা করে, গাঁজা খায়। আমাকে আজকে নিয়ে তিনদিন মারছে। সকালে আমার কাছে টাকা চাইছে, আমি দিইনি বলে আমাকে ইট দিয়ে পায়ে আঘাত করছে।
স্থানীয়রা বলেন, বেকারত্ব থেকে হতাশায় খলিল মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। শনিবার সকালে সে তার মায়ের কাছে টাকা চায়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে এতে খলিল ক্ষিপ্ত হয়ে ইট নিক্ষেপ করে। ইটের আঘাতে তার মা পায়ে আঘাত পায়। এ সময় নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে খলিলকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে উত্তম মধ্যম দেয়। পরে সকলের সিদ্ধান্তে ছাতিরবাজার–টেপিরবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের পাশে মাটি খুঁড়ে কোমর পর্যন্ত তাকে পুঁতে রাখে। খবর বিডিনিউজের।
প্রতিবেশী রেহেনা আক্তার জানায়, খলিল এর আগেও তার মাকে একাধিকবার মারধর করেছে। তাই ভয় দেখাতে এই শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে খলিল বলেন, সকালে মায়ের কাছে টাকা চেয়েছি। টাকা না দেয়ায় ইট ছুড়ে মেরেছি। পরে তারা আমাকে ধরে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। ওসি মোহাম্মদ নাছির আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।












