ধনীদের জন্য চালু হল ট্রাম্পের গোল্ড কার্ড ভিসা

| শুক্রবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ট্রাম্পের বহুদিনের প্রতিশ্রুত গোল্ড কার্ড কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে, যাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ মিলবে। খবর বিডিনিউজের।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড লিখেছে, মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার এ পথে ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে ১০ লাখ ডলার, তবে কোনো কোম্পানি মনোনীত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর পরিমাণ হবে দ্বিগুণ। বুধবার হোয়াইট হাউসে ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ট্রাম্প যখন এই কর্মসূচি চালু করেন, তখনই আবেদন সংক্রান্ত বিশেষ ওয়েবসাইট চালু হয়।

কর্মসূচি ১৯৯০ দশকের ইবিফাইভ ভিসাকে প্রতিস্থাপন করবে। বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে সেই ভিসা চালু করা হয়েছিল, যাতে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থানের শর্ত ছিল। ট্রাম্প বলছেন, তার দেখানো মডেল বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশপাশি শীর্ষ মেধাবীদের পাওয়ার পথ খুলে দেবে। আর মার্কিন ট্রেজারিতে আনবে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব। এর আগে তিনি এই কার্ডের জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলারের প্রস্তাব করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত বর্তমান পরিমাণ ঠিক করেন। তিনি বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় পাওয়া সব অর্থ যাবে মার্কিন সরকারের কাছে। আদতে এটি একটি গ্রিন কার্ড, তবে অনেক ভালো। অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক শক্তিশালী পথ খুলে দেবে।

তবে বিদ্যমান ইবিফাইভ ব্যবস্থার মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা কোম্পানির কার্ডধারীর সংখ্যার সীমার ব্যাপারে কোনো শর্তের কথা বলেননি ট্রাম্প। তার বদলে তিনি বলেছেন, কোম্পানিগুলো অভিযোগ করছে, ভিসা অনিশ্চয়তার কারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানো গ্র্যাজুয়েটদের ধরে রাখতে পারছে না। আপনি সেরা শিক্ষালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দিতে পারবেন না, কারণ আপনি জানেনই না তাদের ধরে রাখতে পারবেন কি না, বলেন ট্রাম্প। বাণিজ্য মন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, প্রতিটি আবেদনে ১৫ হাজার ডলারের যাচাইকরণ ফি থাকবে। তার ভাষ্য, যাচাই প্রক্রিয়াই নিশ্চিত করবে যে এই মানুষরা আমেরিকায় থাকার জন্য পুরোপুরি যোগ্য’। কোম্পানিগুলো একাধিক কার্ড পেতে পারে, কিন্তু প্রতিটি কার্ডে কেবল একজনের নাম থাকবে। বর্তমান গ্রিন কার্ডধারীরা গড় আমেরিকানদের তুলনায় কম আয় করে মন্তব্য করে লুটনিক বলেন, মার্কিন অভিবাসনকে ধনী এবং উচ্চ দক্ষতার প্রার্থীদের দিকে নিয়ে যেতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্তান জন্ম দিতে চাইলে মিলবে না যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সদস্যদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির বিবৃতি