ধূমপান মারাত্মক ব্যাধি। কোথাও দাঁড়িয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিবো, সে পরিবেশ নেই। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে নিকোটিনের ধোঁয়া। নেশায় বিভোর হয়ে ধূমপান করে যাচ্ছেন তারা। অধূমপায়ী হয়েও একপ্রকার বাধ্য হয়েই গ্রহণ করতে হচ্ছে সিগারেটের বিষাক্ত নিকোটিন। ডাস্ট আ্যলার্জির রোগীর জন্য তা হয়ে ওঠে অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ। জনসমাগমে ধূমপানে জরিমানার বিধান থাকলেও, নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা। এতে প্রায় প্রতিদিনই সববয়সের অধূমপায়ীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় ওঠে এসেছে, ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণের স্বাস্থ্যরক্ষায় ও পাবলিক প্লেসকে সবার জন্য উপযোগী করার লক্ষ্যে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জরিমানা নির্ধারণ করা হোক এবং আইন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ১০০ গজের মধ্যে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যাদি বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। তামাকজাত দ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় অল্পবয়সেই শিক্ষার্থীরা তামাকে অভ্যস্থ যেমন হচ্ছে, তেমনি তামাকের টাকা যোগাড়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। ফলে কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বাড়ছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, কিশোর গ্যাং নিমূর্লের উদ্যোগে সফলতা অর্জন করতে হলে ধূমপানকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের বিভিন্ন নিয়মকানুন থাকলেও জনসমাগমে ধূমপান সেবনের বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেই বললেও চলে। পাবলিক প্লেসসহ সর্বত্র ধূমপান রোধে সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ সময়ের দাবি।
মুহিবুল হাসান রাফি
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ।









