বায়ুদূষণ: এক নীরব ঘাতক

দেলোয়ার মজুমদার | শনিবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণ বিপুলভাবে আলোচিত একটি বিষয়। এই পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান তিনটি খাত হচ্ছে বায়ুদূষণ পানিদূষণ ও শব্দদূষণ। আজ আমরা এই লেখায় বায়ুদূষণের বিষয়ে আলোচনা করব।

বিভিন্ন উপাদান নিয়ে বায়ুমণ্ডল ঘটিত, এই উপাদান সমুহের পরিমানগত বিন্যাসের পরিবর্তন জীব ও বাস্তুগত জীবনকে ব্যপকভাবে প্রভাবিত করে। মানবস্বাস্থ্য,পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ঝুঁকি তৈরী করার মত ক্ষতিকর গ্যাস, সূক্ষ্ম ধূলিকণা, ধোঁয়া, বিষাক্ত রাসায়নিক বা জৈব দূষকের উপস্থিতিই হলো বায়ুদূষণ। আধুনিক জীবনযাপনের প্রবৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়নে বায়ুমণ্ডলে কিছু দূষকের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণভাবে বায়ুতে কার্বন মনোক্সাইড (ঈঙ), ওজোন (ঙ₃), সীসা (চন), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (ঘঙ₂), সালফার ডাই-অক্সাইড (ঝঙ₂), এবং সূক্ষ্ম কণিকা চগ₂.₅ ও চগ₁₀-এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া ক্ষতিকর আর এমন অবস্থাকে আমরা বায়ুদূষণ হিসেবে বিবেচনা করি।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও আধুনিক জীবনযাপনের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দূষণের মাত্রা লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোও এর ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে নয়। বায়ুদূষণের অবস্থা বুঝতে বিভিন্ন পরিমাপক ব্যবহার হয়। প্রধানত চগ₂.₅, চগ₁₀, অছও এই তিন পরিমাপকে বায়ুদূষণ পরিমাপ করা হয়। কোন সূক্ষ্ম কণার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম হলে তাকে চগ₂.₅ তে পরিমাপ করা হয়। এই অতি ক্ষুদ্র কণা শ্বাসের সঙ্গে সরাসরি ফুসফুসের গভীরে ঢুকে রক্তে মিশে গিয়ে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। অপেক্ষাকৃত বড় কণা যার ব্যাস ১০ মাইক্রোমিটারের কম তাকে চগ₁₀ তে পরিমাপ করা হয়। এই ক্ষুদ্র কণা নাকে বা গলায় জমে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি করে।

বায়ুতে অবস্থানরত ক্ষতিকর উপাদানগুলোকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনায় নিয়ে একটা যৌগিক সূচক নির্ণয় করা হয়, যা অছও (অরৎ ছঁধষরঃু ওহফবী) নামে পরিচিত। এই যৌগিক সূচক ০ থেকে ৫০০ স্কেলে বায়ুর গুণমান প্রকাশ করে। নিচে এই সূচকের বিভিন্ন মাত্রায় বায়ুর গুণমানের যে অবস্থা প্রকাশ করে তা উল্লেখ করলাম।

0–50 : ভালো

51–100 : মাঝারি

101–150 : সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর

151–200 : ক্ষতিকর

201–300 : অত্যন্ত ক্ষতিকর

301–500 : বিপজ্জনক

শীতকালে ঢাকা-চট্টগ্রামের স্কোর প্রায়শই ২০০-৩০০ থাকে। এই জন্যই মাঝমধ্যেই এই নগরদ্বয় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরের তালিকায় ঢুকে পড়ে।

বাংলাদেশের জাতীয় ও ডঐঙ এর বায়ুগুণমান মানদণ্ড:

বাংলাদেশের জাতীয় মানদণ্ড (ঘঅঅছঝ):

PM₂.₅ বার্ষিক ১৫ ক্রম/সক্ত, ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ ক্রম/সক্ত

PM₁₀, বার্ষিক ৫০ ক্রম/সক্ত, ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ ক্রম/সক্ত

NO₂, বার্ষিক ১০০ ক্রম/সক্ত

SO₂ , ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ ক্রম/সক্ত

CO ৮ ঘণ্টায় ১০ সম/সক্ত

O₃ , ৮ ঘণ্টায় ১০০ ক্রম/সক্ত

WHO (২০২১) মানদণ্ডঃ

PM₂ .₅, বার্ষিক ৫ ক্রম/সক্ত, ২৪ ঘণ্টায় ১৫ ক্রম/সক্ত

PM₁ ₀ , বার্ষিক ১৫ ক্রম/সক্ত, ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ ক্রম/সক্ত

NO₂ , বার্ষিক ১০ ক্রম/সক্ত

SO₂ , ২৪ ঘণ্টায় ৪০ ক্রম/সক্ত

O₃ , ৮ ঘণ্টায় ১০০ ক্রম/সক্ত

বাংলাদেশের মানদণ্ড ডঐঙ্থর মানদণ্ডের তুলনায় অনেক সিথিল, বাংলাদেশের মানদণ্ড নির্ধারণে স্থানীয় বাস্তবতা ও সামর্থকে বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে। কাজেই জনস্বাস্থ্যের জন্য ডঐঙ’র মানদণ্ড আরও বেশি নিরাপদ।

বায়ুদূষণের কারণ সমুহ:

বায়ুদূষণ প্রধানত দুটি ভাবে হয়, প্রাকৃতিক কারণে ও মানবসৃষ্ট কারণে।

প্রাকৃতিক কারণ (প্রধানত) :

ধুলিঝড়, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত,

বায়ুমণ্ডলের প্রাকৃতিক রসায়নিক বিক্রিয়া, বনের আগুন ইত্যাদি।

মানবসৃষ্ট কারণ সমুহ :

ক) আমাদের দেশে সারা বছরই উন্নয়ন কাজ চলে, উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার ও পরিবহনের সময় ডাস্ট প্রটেকশনের ব্যবস্থার পুরোপুরি অবহেলিত। এই অবহেলায় সিমেন্ট ডাস্ট, ধুলাবালি, কাঠের গুড়া ইত্যাদি বায়ুদূষণ ঘটায়।

ধুলাবালি বায়ুদূষণ বাড়িয়ে দেয়।

খ) আমাদের দেশের সড়কে মেয়াদোত্তীর্ণ মানহীন যানবাহনের ছড়াছড়ি, উচ্চ সালফার যুক্ত জ্বালানির ব্যবহার ও অন্যান্য ব্যত্যয় জনিত কারণে নির্গত ক্ষতিকর ধোঁয়া বায়ুদূষণ ঘটায়।

গ) শিল্প কারখানায় বিশেষ করে রাসায়নিক কারখানা, বস্ত্র কারখানা, সিমেন্ট, স্টিল, চামড়া, ডাইয়িং ফ্যাক্টরি ইত্যাদি থেকে ধোঁয়া ও রাসায়নিক গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ু দূষণ ঘটায়। এছাড়া শিল্প কারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক তরল থেকে বিযুক্ত ক্ষতিকর গ্যাসও বায়ুদূষণ ঘটায়।

ঘ) গ্রামে ও শহরের আশপাশে প্রচুর ইটভাটা এখনো আছে। অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিকভাবে গড়ে উঠা এই সমস্ত ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বাতসে অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা (PM₂.₅ I PM₁₀) বাড়িয়ে দেয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।

ঙ) জীবনযাপনে আধুনিকতা ও আয়েস এসে যাওয়ায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্য পণ্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র, ফ্রিজ ইত্যাদি। ইদানীংকালে এসি, রেফ্রিজারেটরে সাধারণত পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পুরোনো ও ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলো এখনো CFC বা HCFC ছড়ায়, যা ওজোনস্তর ক্ষয় করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।

চ) দৈনন্দিন জীবনের গৃহস্থালি বর্জ্য, ফসলের অবশেষ, রাবার, প্লাস্টিক, মেডিকেল বর্জ্য ইত্যাদি পোড়ানোতে উৎপাদিত বিষাক্ত গ্যাস বায়ুদূষণ ঘটায়।

ছ) রান্নার কাজে জ্বালানি কাঠ বা কয়লা ব্যবহার করার ফলে ঘরোয়া বায়ুদূষণ বাড়ে।

প্রকৃতপক্ষে মানবসৃষ্ট কারণ সমূহই বায়ুদূষণে প্রধান ভুমিকা রাখে। তুলনামূলকভাবে প্রাকৃতিক কারণ সমূহের প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম।

জনস্বাস্থ্যের উপর বায়ুদূষণের প্রভাবঃ

বাংলাদেশে বায়ুদূষণ জনিত প্রধান রোগগুলি হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগ ইত্যাদি। বায়ুদূষণ জনিত রোগে প্রতিবছর গড়ে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে গড়ে প্রতিবছর একলক্ষের অধিক মানুষের মৃত্যু হয় যার মধ্যে পাঁচ সহস্রাধিক শিশু। ডঐঙ’র তথ্য মতে বিশ্বে বায়ুদূষণ জনিত রোগে বছরে সত্তর লক্ষের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে এক গবেষণায় দেখা যায় শুধুমাত্র ২০১৯ সালে বায়ুদূষণজনিত রোগে ১,৭৩,৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ফুসফুসের ক্যান্সার, এবং অন্যান্য রোগ। এছাড়াও বায়ুদূষণঃ জনিত কারণে অপরিণত গর্ভধারণ, প্রিম্যাচিয়ুর ও কম ওজনের শিশু জন্ম নেওয়ার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। এই দূষণে শিশুদের ফুসফুসের বিকাশ ব্যাহত হয়, চোখ ও গলার জ্বালা এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জিতে ভুগতে পারে। চগ₂.₅ রক্তে প্রবেশ করে পুরো শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যেজন্য এটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক দূষক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

অর্থনৈতিক প্রভাবঃ

বায়ুদূষণের অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুমাত্রিক। বায়ুদূষণের প্রভাবে কর্মে যুক্ত হতে না পারার কারণে বছরে ছাব্বিশ কোটি ত্রিশ লক্ষ কর্মদিবস নষ্ট হয়, কর্মিদের কর্মক্ষমতা কমে যায়, ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ব্যহত হয়। জনস্বস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পায়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও সনদায়নের জন্য অতিরিক্ত সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন হয়, পরিবেশগত ক্ষতি পুনরুদ্ধারে দীর্ঘমেয়াদি ব্যয় বাড়ে, যার অর্থনৈতিক প্রভাব বিশাল। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের ক্ষতির পরিমান বছরে জিডিপির ৩-৪% পর্যন্ত হতে পারে। তাঁর বাইরে ব্যক্তিগত ব্যয়ও বৃদ্ধি পায়।

শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি, অ্যালার্জি ও হৃদরোগে চিকিৎসায় ব্যয় বাড়ে। অ্যাজমা রোগীদের ইনহেলার ও ওষুধের ওপর নির্ভরতা বাড়ে। মাস্ক, এয়ার পিউরিফায়ার, ফিল্টার রক্ষণাবেক্ষণে অতিরিক্ত খরচ হয়।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়:

দেশের পরিধিতে সব ধরনের বায়দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলেও, স্থানীয়ভাবে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তর নিরাপদ করে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য দরকার কার্যকরী উদ্যোগ। এই উদ্যোগে প্রয়োজন জনসচেনতা বৃদ্ধি ও সম্পৃক্তকরণ সাথে কার্যকর আইনের সমর্থন। এই দুটি বিষয় নিশ্চিত করে কয়েকটি কাজ করতে পারলেই বায়ুদূষণ সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনা সম্ভব। প্রথমেই দরকার নীতি ও অবকাঠামোগত সমাধান। কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়া পরিবেশ ছাড়পত্র দেয়া যাবে না। নির্মাণ কাজে ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে পরিবেশ নির্দেশিকা মানা নিশ্চিত করতে হবে যেমন, সামগ্রী ঢেকে রাখা, পানি ছিটানো, নির্মাণ এলাকা পর্দায় ঢেকে রাখা ইত্যাদি।

ইটভাটায় আধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্জ্য নির্গমন নিয়ন্ত্রণে পরিশোধন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা। ক্রটিপূর্ণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় পরিবেশ বান্ধব যানবাহন চলাচল ও সেইসাথে ক্ষতিকর উাপাদান মুক্ত জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষে বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎসাহিত করতে হবে, কম সালফারযুক্ত জ্বালানি ব্যবহার বাধ্যামূলক করতে হবে। গণপরিবহন উন্নয়নে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ফসলের অবশিষ্টাংশ ও গৃহস্থালি বর্জ্য সহ অন্যান্য বর্জ্য ব্যক্তিগত উদ্যোগ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে।

বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি যেমন গ্যাস ব্যবহার করতে হবে, কাঠ ব্যবহার করলে ভেজা কাঠ ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার, এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে, অপ্রয়োজনে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার কমানো এবং এনভায়রনমেন্ট-ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বায়ুদূষণ প্রতিকারে আইনের কোন বিধান সমূহঃ

বাংলাদেশে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি আইন ও বিধিমালা রয়েছে।

ক) পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫

খ) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭

গ) বায়ুমান মানদণ্ড (ঘঅঅছঝ)

ঘ) ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ (পরিমার্জিত)

ঙ) মোটরযান অধ্যাদেশ ও নির্গমন মানদণ্ড

চ) জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০

বাস্তবায়ন দুর্বলতা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শাস্তির মাত্রা কম থাকায় এসমস্ত আইনে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

এসব আইনে পাহাড় কাটা, জলাধার ভরাট, শিল্প, যানবাহন, ইটভাটা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন খাতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে, প্রয়োজন অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনগুলোকে প্রয়োজনীয় অংশে সংশোধিত করা।

উপসংহার : ভবিষ্যত প্রজন্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখে বর্তমান পরিকল্পনা প্রণয়ন হলেই তা হয় টেকসই। বায়ুদূষণ আজ শুধু পরিবেশগত সংকট নয়; এটি একটি জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা। দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়ণের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশ-ব্যবস্থাপনা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। আর এই কাজে সরকার ও উদ্বুদ্ধকৃত জনগণের পরিকল্পিত সম্পৃক্ততাই সাফল্য আনতে পারে। বায়ুদূষণ সংক্রান্ত ডঐঙুর মানদণ্ড এবং আমাদের জাতীয় মানদণ্ড কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করতে পারব।

লেখক: প্রকৌশলী, নগর উন্নয়ন বিষয়ক গবেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানুষের উৎস এবং বৌদ্ধধর্মের দৃষ্টিকোণ
পরবর্তী নিবন্ধআল্লাহ নিশ্চয়ই ঠিক করেন কে সম্মান পাবে : দীপা খন্দকার