হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট মন্দাকিনীতে বিয়ের সামাজিক বৈঠকে ছুরিকাঘাতে রবিউল ইসলাম বাবু নামে (৪০) এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন ও আনিস নামে আরো দুজন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার ১ নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নাজিরহাট স্টেশন সংলগ্ন মুছা সওদাগরের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় সামাজিক বৈঠক চলছিল। এ সময় বৈঠকে বাবুর সাথে একই বাড়ির মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পুত্র জসিম ড্রাইভারের (৪৮) বাকবিতণ্ডা হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জসিম ঘর থেকে ছুরি এনে বাবুর গলায় আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে বাবু ঘটনাস্থলে মারা যান। বাবু মুছা সওদাগরের বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক কোম্পানির বড় ছেলে। তিনি নাজিরহাট স্টেশন এলাকার একজন ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বৈঠকে থাকা লোকজন বাবুকে উদ্ধার করতে গেলে জসিম নিহতের ছোট ভাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন ও আনিস নামের দুজনকেও ছুরিকাঘাত করে। এতে তারা আহত হন। আহতদের উপস্থিত লোকজন উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। স্থানীয় লোকজন জসিম ড্রাইভারকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে।











