নাহিদ রানাকে আরও বেশি ম্যাচে দেখতে চান শন টেইট

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলারদের একজন ছিলেন শন টেইট। যিনি এখন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। গতির মূল্য তার ভালো জানা। তাই জানেন, বাংলাদেশের জন্য নাহিদ রানার মতো একজন বোলার কত বড় প্রাপ্তি। তরুণ এই ফাস্ট বোলারকে তিনি মনে করেন এদেশের বিরল এক সম্পদ। দেশের জার্সিতে সব সংস্করণেই তাকে আরও বেশি ম্যাচে দেখতে চান বাংলাদেশের বোলিং কোচ। গতির রেকর্ডের আনু্‌ষ্ঠানিক হিসেবে নাহিদ বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম বোলার। ১৫২ কিলোমিটার গতি ছাড়িয়েছেন তিনি। ১৫০ ছাড়িয়েছেন বেশ কবার। জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচের জন্য অবশ্য এই গতি ছিল খুবই স্বাভাবিক। আনুষ্ঠানিক রেকর্ডে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ডেলিভারিটি (১৬১.৩ কিলোমিটার) করেছেন টেইট। ১৫০ পার করতেন তিনি হরহামেশাই, ১৫৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়েছেন অনেকবার। নাহিদের মধ্যেও কি একদিন ১৫৫ কিলোমিটার বা ১৬০ কিলোমিটার ছোঁয়ার সম্ভাবনা দেখেন? এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নে আশার ছবিই মেলে ধরে টেইট অবশ্য বললেন গতিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

সে অবশ্যই পারবে, যদি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যায়। তবে আমি এসব নিয়ে ওকে একটুও চাপ দিতে চাই না। গতি ভালো, তবে গতিই সব নয়। ১৫৫১৬০ কিলোমিটার ছুঁতে পারলে ভালো, কিন্তু এর চেয়ে বেশি জরুরি বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেওয়া ও নিয়মিত ভালো করা। এই প্রক্রিয়ায় গতিও বেড়ে গেলে দারুণ।’ গতি বাড়ানোয় জোর দেওয়ার চেয়েও বোলিং কোচের চোখে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপাতত নাহিদকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশি ম্যাচ খেলার পথ বের করা। ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি, তাকে দলে রাখতে হবে। বাংলাদেশের হয়ে যথেষ্ট খেলার সুযোগ সে পাচ্ছে না। যেভাবেই হোক, দলে তাকে আরও বেশি রাখতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সে সত্যিকারের বিরল এক সম্পদ। আশা করি, সাদা বলের ক্রিকেটে সামনে তাকে আরও বেশি কাজে লাগানো হবে। কারণ, আামি জানি, কেউই তার বল খেলতে চায় না। আপনি যে কোনো প্রতিপক্ষ বা ব্যাটসম্যানকে জিজ্ঞেস করুন, কেউ তার মুখোমুখি হতে চায় না। তাকে তাই আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং অবশ্যই ভালোভাবে দেখভাল করতে হবে। গতি ওর বাড়তেই থাকবে আরও।’ নাহিদকে এখনও পর্যন্ত মূলত টেস্ট ক্রিকেটেই ব্যবহার করছে বাংলাদেশ। সেখানেও সতর্কতায় সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ম্যাচ খেলানো হচ্ছে বেছে বেছে। দেড় বছর আগে অভিষিক্ত ফাস্ট বোলার এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ১০ টেস্ট। ওয়ানডে খেলেছেন তিনি ৫টি, টিটোয়েন্টি ১টি। এ বছর খেলেছেন কেবল ৪ টেস্ট, ২ ওয়ানডে ও ওই টিটোয়েন্টি ম্যাচটি। নাহিদের বোলিং অ্যাকশন ও সামগ্রিক কিছুতে খুব বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখেন না টেইট। তবে আবারও বললেন আরও বেশি ম্যাচ খেলানোর কথা। আগামী বছরের অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি নাহিদের বোলিং দেখার আশায়। ‘টুকটাক কিছু ব্যাপার ছাড়া ওর সবকিছু ঠিকঠাক আছে। কিন্তু ম্যাচ আরও বেশি খেলাতে হবে। বেশি খেলালে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পড়লে আমরা বুঝতে পারব সে কতটা প্রস্তুত। এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটেই তাকে বেশি দেখা গেছে। তবে সেটাও যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশে অবশ্য পেসারদের বেশি খেলানোও কঠিন। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জায়গায় ওকে বোলিং করতে দেখলে আরেকটু ভালোভাবে বিচার করতে পারব। আগামী বছরই এসব জায়গায় সফর আছে আমাদের।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবয়কটের হুমকি দিলেও বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে থাকবে ইরান
পরবর্তী নিবন্ধবধির ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সাইফুর রহমান টিম জয়ী