সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বয়সের বিষয়ে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ৫ থেকে ৭ বছর বহাল থাকলেও অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়সের ধারাবাহিকতা বহাল রাখার অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে’ এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। নীতিমালার সংশোধনী তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০ অনুযায়ী ১ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ ধরে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। খবর বিডিনিউজের।
উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। আর সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৭ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ জন্মতারিখ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া যাবে। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর সরকারি স্কুলের ভর্তির নীতিমালা জারি করা হয়। ওই নীতিমালায় বলা ছিল, অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। সরকারি–বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে আবেদন গ্রহণ চলছে। ৫ ডিসেম্বর বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।










