মিয়ানমারে আফিম চাষ এক দশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে : জাতিসংঘ

| বৃহস্পতিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে আফিম চাষ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত এক বছরে চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ শতাংশ। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত কৃষকদের অনেকেই আবারও অবৈধ এই ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ এমনটাই জানিয়েছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৪ সালে ৪৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হলেও এ বছর তা বেড়ে ৫৩ হাজার ১০০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তানে উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বে অবৈধ আফিমের প্রধান উৎস হিসেবে মিয়ানমারের অবস্থান আরও পোক্ত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

মিয়ানমার এখন এক সংকটপূর্ণ অবস্থানে দাঁড়িয়ে’, এক বিবৃতিতে বলেছেন দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে ইউএনওডিসির প্রতিনিধি ডেলফিন শ্যান্টজ। তিনি বলেন, চাষের ব্যাপক বিস্তৃতি দেখাচ্ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফিম অর্থনীতি কীভাবে আবার মাথা তুলেছে এবং ভবিষ্যতে এর আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিমজ্জিত। অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে গড়ে ওঠা সশস্ত্র প্রতিরোধ এখন পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২৮ ডিসেম্বর থেকে ব্যাপক সমালোচিত সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা সরকার। তবে এ বিষয়ে ফোনে জানানো রয়টার্সের মন্তব্যর অনুরোধে মিয়ানমার সেনা সরকারের কোনো মুখপাত্র সাড়া দেননি।

ইউএনওডিসি বলছে, কয়েক বছর ধরে হ্রাস পাওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে আফিম চাষ ফের ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। আফিমের দাম একই সময়ে দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষকদের বড় অংশ আবার এই চাষে ফিরছে। সর্বোচ্চ বৃদ্ধি দেখা গেছে মিয়ানমারের পূর্ব শান রাজ্যে, ৩২ শতাংশ। চিন রাজ্যে বৃদ্ধি ২৬ শতাংশ। দক্ষিণ শান রাজ্য এখনও চাষের মূল কেন্দ্র, যেখানে দেশের মোট উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ উৎপাদিত হচ্ছে। তিনটিই রাজ্যই বর্তমানে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাতে জর্জরিত এলাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ৩৭০-র সন্ধানে তল্লাশি আবার শুরু হচ্ছে : মালয়েশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধটাইগার যুবাদের এশিয়া কাপ মিশন ১৩ ডিসেম্বর শুরু