জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৭তম আসরের ষষ্ঠ রাউন্ডে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও ইরফান হোসেনের বোলিং তোপে ফলো–অনে পড়েছে রংপুর বিভাগ। প্রথম ইনিংসে জিল্লুর রহমান বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ৩৫০ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। জবাবে হাসানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১২৬ রানে গুটিয়ে ২২৪ রানে পিছিয়ে থাকায় ফলো–অনে পড়ে রংপুর। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৪ রান করেছে তারা। ইনিংস হার এড়াতে আরও ২২০ রান করতে হবে রংপুরকে।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৮০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭০ রান করেছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। বিজয় ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনে ২০৪ বল খেলে ১১ চারে ১১৩ রানে থেমে যান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বিজয়। দলীয় ২৭৯ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিজয় ফেরার পর লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রান তুলে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। নাইম হাসান ৫১ বল খেলে ১৯ রানে বোল্ড আউট হন নাসির হোসেনের বলে। নবম উইকেট জুটিতে হাসান মুরাদ এবং হাসান মাহমুদ জুটি ৭০ রান যোগ করেন। দলীয় ৩৪৯ রানে নবম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম বিভাগ। হাসান মুরাদ ৫৮ বলে ৩৪ রান তুলে ইকবাল হোসেনের বলে এলবি হয়ে যান। তিনি ৪টি চার এবং ১টি ছক্কা মারেন। এরপর ইফরান হোসেন আউট হয়ে গেলে হাসান মাহমুদ ৩৫ বল খেলে ১৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান। ১টি চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রংপুরের রবিউল হক ও মেহেদি হাসান ৩টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৫৫ এবং ৫৯ রান খরচ করে। আবু হাসিম ৬৭ রানে ২ উইকেট পান। ১টি করে উইকেট পান নাসির হোসেন এবং ইকবাল হোসেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই পেসার হাসান ও ইরফানের তোপের মুখে পড়ে ৩৩ রানে ৮ উইকেট হারায় রংপুর। এরমধ্যে হাসান ৫টি ও ইরফান ৩ উইকেট নেন। ৫০ রানের নিচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়া রংপুরকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন তানবীর হায়দার ও দশ নম্বরে নামা হাসিম। নবম উইকেটে ৮৮ রানের লড়াকু জুটি গড়েন তারা। তানবীর হায়দার ৭৮ বলে ৪৬ রান করেন ৩টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে। দলীয় ১২১ রানে হাশিমের বিদায়ে ভাঙ্গে জুটি। ৩ চারে ৮১ বলে ৩৯ রান করে ফিরেন হাশিম। এরপর শেষ ব্যাটার মেহেদি হাসান ৫ রানে থামলে ১২৬ রানে শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন তানবীর। রংপুরের শেষ ২টি উইকেট নেন নাইম হাসান ও হাসান মুরাদ। ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের সফল ছিলেন বোলার হাসান মাহমুদ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মত ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। ইফরান ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। নাইম হোসেন এবং হাসান মুরাদ ১টি করে উইকেট নেন। ২২৪ রানে পিছিয়ে ফলো–অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৪.২ ওভার ব্যাট করে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৪ রান করেছে রংপুর। ক্রিজে আসেন মিম এবং মামুন যথাক্রমে ৩ ও ১ রান নিয়ে। আজ খেলার তৃতীয় দিন।











