নগরীর কোর্টহিলের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামির বিরুদ্ধে ফের হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তারা হলেন শুভ কান্তি দাস ও সূকান্ত দত্ত। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার চার্জশিটভুক্ত ৩৯ আসামির মধ্যে ১৮ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে পরোয়ানা এবং পরে হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা জারি করা হয়। এরমধ্যে ১৬ জনের হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা জারি হয়ে ফেরত আসলেও ২ জনের আসেনি। এরই প্রেক্ষিতে আদালত এ ২ জনের বিরুদ্ধে ফের হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা জারি করেছেন।
তরুণ আইনজীবী আলিফ হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৬ নভেম্বর। গত বছরের এ দিনে নগরীর কোর্টহিলের অদূরে মেথরপট্টি এলাকায় খুন হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মো. মাহফুজুর রহমান ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। পরে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চার্জশিটে একজনকে অন্তর্ভুক্ত করলে চার্জশিটভুক্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৯ জন। এ ৩৯ আসামি হলেন সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাশ, চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, শুভ কান্তি দাশ, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ রমিত দাস, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, লালা দাশ, সামীর, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাশ, সুমিত দাশ, সনু দাস, সকু দাশ, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস, দ্বীপ দাশ ও সুকান্ত দত্ত। এদের মধ্যে চিন্ময় দাশ, চন্দন দাশ, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত, নয়ন, সামীর, শিব কুমার, ওম দাস, অজয়, দেবী চরণ, দুর্লভ, সুমিত দাশ, সনু দাস ও সোহেল দাশ ঘটনা পরবর্তী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকী ১৮ জন পলাতক।










