সাবেক অর্থ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
তাকে বিএনপিতে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশের একজন অত্যন্ত বিশিষ্ট সন্তান, যিনি তার নিজের যোগ্যতা বলে আইএমএফ এর অত্যন্ত উচ্চ পদে কাজ করেছেন এবং পরবর্তীকালে তিনি দেশে এসে ২০১৮ সালে তিনি গণফোরাম থেকে আমাদের যে যুক্ত ফ্রন্টের (নির্বাচনী জোট) মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেছিলেন। পরবর্তীকালে আপনারা দেখেছেন তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে ড. রেজা কিবরিয়া আজকে আমাদের মাঝে এসে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমি আমার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে আমাদের দলে স্বাগত জানাচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।
২০১৮ সালের নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ–১ আসনে (বাহুবল–নবীনগর) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২২৭ আসনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ–১ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাকে বিএনপিতে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রেজা কিবরিয়া তার অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের নতুন বিনির্মাণে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবেন।
অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। ২০১৮ সালে ওই চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে ড. কামাল হোসেন গণফোরামে যোগ দেন এবং কিছু দিনের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক হন। কিন্তু দলের ভেতরে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। পরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেই দলও দুই ভাগ হয়ে যায়। পরে বিভক্ত দল নিয়ে আমজনতার দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজা কিবরিয়া।
‘আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্বিত’
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে খুবই গর্বিত। আমি বিএনপিতে আজকে (গতকাল) ফরমালি জয়েন করলাম। এই দলটার ইতিহাসটা হল গণতন্ত্রের ইতিহাস। দুই দুইবার তারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের থেকে। একবার শেখ মুজিবের গণতন্ত্র ধ্বংস…সেখান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এটাকে রক্ষা করলেন। আর দ্বিতীয় বার শেখ হাসিনা–জেনারেলের এরশাদের সাথে গণতন্ত্র ধ্বংস এবং আমাদের বেগম খালেদা জিয়া যিনি এখন অনেক অসুস্থ…সবাই দোয়া করবেন উনার জন্য। উনি আবার এটা রক্ষা করলেন।
জিয়ার প্রশংসায় কিবরিয়াপুত্র বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা। একটা দল দুইবার বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করেছে। আমি ইতিহাসে এরকম উদাহরণ অন্য কোনো দেশে দেখি না। এইসব কারণে আমি বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমার আদর্শ। উনার সাহস, উনার ব্যক্তিগত চরিত্র, উনার সততা এগুলো নিয়ে এত বছর পরও সবাই গর্ব করে। উনি যে কোয়ালিটির ছিলেন যে, এত বছর পরও গ্রামের লোক উনার কথা বলে, এরকম মানুষ আর বাংলাদেশে জন্মাবে না হয়ত।











