বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ আজ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে। এর আগে গতকাল বুধবার সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। বেলা সোয়া ১১টায় হোটেল র্যাডিসন ব্লু’র সামনে খোলা পার্কে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস ও আয়ারল্যান্ড দলের অধিনায়ক পল স্টারলিং ট্রফিটি উন্মোচন করেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটিতেই জয় পেয়ে চট্টগ্রামে টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসে টাইগাররা। ফলে আজ থেকে শুরু হওয়া টি–টোয়েন্টি সিরিজের আগেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন তারা এমনটাই ভাবনা। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের ভাবনা অন্যরকম। গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আগে টানা চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। দল তখন ছিল ফুরফুরে। চট্টগ্রামে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের আগে লিটন বলেছিলেন, এই সিরিজে দলকে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখতে চান তিনি, যাতে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা শিখতে পারে তার দল। বাংলাদেশ অধিনায়কের সেই চাওয়া বলা যায় সুদে–আসলে পুষিয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজটি ক্যারিবিয়ানরা জিতে যায় ৩–০ ব্যবধানে।
এবার সেই চট্টগ্রামেই প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের আগে এটিই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। সিরিজ শুরুর আগের দিন লিটন বলেছেন, এই সিরিজেও দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে দেখতে চান তিনি। লিটন বলেন, আমি চাই আমাদের ক্রিকেটাররা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুক। গত সিরিজে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার পর যে জিনিসটা হয়েছে, সিরিজটা আমরা জিততে পারিনি। এবার চেষ্টা করব, যেন ওখান থেকে বের হয়ে যেন ম্যাচগুলো জিততে পারি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচটি এই চট্টগ্রামেই জিতেছিল আইরিশরা। তবে নানা বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই মাঠে নামবে লিটনের দল। তারও চাওয়া, দল যেন মাঠের ক্রিকেটেও পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমাদের যে দল ও সামর্থ্য আছে, আমরা যদি আমাদের দিনে শতভাগ ক্রিকেট খেলতে পারি, অবশ্যই দাপুটে জয় পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি, আমাদেরকে ক্রিকেটে প্রত্যেক দলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। যেদিন যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, তাদেরই পক্ষে খেলা যাবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার।
বাংলাদেশের বড় দুর্ভাবনার জায়গা দুটি। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ পড়ছে নিয়মিতই। ক্যাচিংয়ে মাঝেমধ্যেই আসে খুব বাজে দিন। ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না অনেক দিন ধরেই। লিটন যদিও দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না, তবে বিশ্বকাপের আগে এই জায়গাগুলোতে উন্নতির তাড়না ফুটে উঠল তার কণ্ঠে। লিটন বলেন, আমার মনে হয় তিন বিভাগেই আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। উন্নতির শেষ নেই। বিশেষ করে যদি আমরা ফিল্ডিংটা ভালো করতে পারি, আমাদের মনে হয় এটা প্লাস পয়েন্ট হবে। আমি খুব একটা চিন্তিত নই মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই গত দুই–একটা সিরিজে আমরা আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারিনি মিডল অর্ডারে। বাট তারা সবাই প্রমাণিত। কিছু কিছু সিরিজ যায় দুই–একটা ক্রিকেটারের খারাপ যায়। তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমি আশা করি, তারা এই সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াবে।











