জুলাই বিপ্লবের চেতনাবোধকে ধারণ করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং ইউনেস্কো বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সহায়তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য Social Emotional Well being (SWE) প্রকল্পের আওতায় গতকাল সোমবার দিনব্যাপী চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে একটি লার্নিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী সেশনে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চবি উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশান বিভাগের পরিচালক জেসমিন পারভিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী ও চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব। ছাত্র–ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো.আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য গিয়েছে। সেই কঠিন পরিস্থিতি এখনো শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বয়ে বেড়াচ্ছে। এজন্য জুলাই আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিজেকে জানতে হবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিজের ভালো গুণগুলো কাজে লাগাতে হবে। অপরের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম বলেন, একজন ব্যক্তির জন্য সামাজিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরি। এজন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। পাশাপাশি সেল্ফ ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। এছাড়া পরিস্থিতি সামলানো, পরিবেশ বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া, কথা বলাও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসে এখন খুবই ভালো একাডেমিক পরিবেশ বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে এখন হল দখল নেই, মারামারি নেই, কোনো ধরনের বাণিজ্য নেই; প্রায় প্রতিদিন গবেষণা ও একাডেমিক নানা বিষয়ে সভা–সেমিনার হচ্ছে। ইউজিসি খুবই সময়োপযোগী ও দারুণ একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দুই অংশীজন হলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। এরমধ্যে প্রথমত শিক্ষকদের মানিসক স্বাস্থ্য ভালো হওয়া দরকার। একজন শিক্ষক থেকে ভালো পরামর্শ, শিক্ষা না পেলে ভালো শিক্ষার্থী গড়ে উঠবে না। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মাধ্যমে কাছে টেনে আনা। তাহলে শিক্ষার্থীরা আর হতাশ হবে না। এজন্য একাডেমিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ তানভীর রহমান, চবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. খাদিজা মিতু ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন।
সেমিনারের আগে প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের সঙ্গে উপাচার্য দপ্তরে সাক্ষাত করেন। এসময় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান একাডেমিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। আগত ইউজিসির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে সহায়তার আশ্বাস দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











