বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে

আগ্রাবাদ সমাবেশে ইসরাফিল খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জাতির পুনর্জাগরণের দলিল। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এতে রয়েছে জনগণের ন্যায়বিচার, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও কৃষি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের দাল্লার সামনে আসন্ন নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১১ সংসদীয় আসনের ভোটারদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে গণসংযোগ পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ধানের শীষ উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ধানের শীষ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতীক। এই প্রতীককে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না। বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছেড়ে যায়নি। বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি ঘরে ঘরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিতে এবং ধানের শীষে ভোট চাইতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন। এই কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয় বরং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার, নাগরিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখা। তারেক রহমানের ৩১ দফা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রোডম্যাপ। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে।

গণসংযোগ উপলক্ষে দুপুর থেকেই নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম ১০ ও ১১ আসন থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। একসময় পুরো আগ্রাবাদ এলাকা হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণসংযোগে অংশ গ্রহণ করে। আগ্রাবাদ এঙেস রোডের দাল্লার সামনের সমাবেশ শেষে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ শুরু করে আগ্রাবাদ মোড় হয়ে বারিক বিল্ডিং মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করেন। তিনি পথচারী ও এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।

গণসংযোগ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, হাজী হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল, বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মো. সেকান্দর, ডা. নুরুল আবসার, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন, জাহিদুল হাসান, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হোসেন, কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমসহ ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও নির্বাচনী এলাকার বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাহিন্দ্রার ধাক্কা,নারীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, বালু জব্দ