চট্টগ্রামেও ভূমিকম্প অনুভূত, হেলে পড়েছে ছয়তলা ভবন

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেক মানুষ বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস থেকে নিচে নেমে আসে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) মাত্রা দেখিয়েছে ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক শামীম হাসান জানান, ভূমিকম্পজনিত কারণে উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল, ভূমিকম্পের পর আরেকটি ইউনিটও বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ মিয়াবাড়ি সড়কের ছয়তলা একটি ভবন পাশের ভবনের দিকে হেলে পড়েছে। ভবনটির মালিক সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম বলে পুলিশ জানিয়েছে। গতকাল সকালে ভূমিকম্পের পর সাততলা ‘স্টার ভবন’ নামের ভবনটি হেলে পড়ার ঘটনা ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় থানা পুলিশের সদস্যরা গতকাল বিকেলে পরিদর্শন করেছেন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, হেলে পড়া ভবনটিতে ১০টি পরিবার বসবাস করে। ভবনের নিচতলায় ডায়াবেটিস পরীক্ষানিরীক্ষার একটি কেয়ার সেন্টার আছে।

পাশের ভবনের মালিক আব্দুল্লাহ বিন আশরাফ বলেন, পাঁচ বছর আগে ভবনটি হেলে পড়েছিল। তখন সিডিএকে জানানো হয়েছিল। তারা পরিদর্শনের পর উপরের দুইতলা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেটি ভবন মালিক মানেননি। এখন ভূমিকম্পে এটি আরও বেশি হেলে পড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেয়ের দাফনে থাকতে পারেননি, স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরছেন হাসপাতালে
পরবর্তী নিবন্ধভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম