ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে খোলামনে কাজ করার গুরুত্বের কথা বলেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ও গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সভায় মনে করিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। খবর বিডিনিউজের।
সিএসসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের ওই সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সব সদস্যের অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য অবাধ, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের কথা তুলে ধরে কনক্লেভের যে মূল্যবোধ ও নীতি, বাংলাদেশ তাতে অবিচল রয়েছে। আর সেটা কনক্লেভ সনদের সার্বভৌমত্ব, সমতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে।
পরে আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের বিবৃতি তুলে ধরে খলিলুর বলেন, বাংলাদেশ কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে এবং সংস্থার সনদে বর্ণিত মূলনীতির ভিত্তিতে ভবিষ্যতেও অংশ নেবে। যেগুলো হচ্ছে– সার্বভৌমত্ব, সমতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
আয়োজক ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে সিএসসির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের সভায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। অজিত দোভাল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে সিএসসির সদস্য দেশ মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা উপদেষ্টারা এ সভায় যোগ দেন। সপ্তম এ সভায় সিসেলস পর্যবেক্ষক দেশ ও মালয়েশিয়া অতিথি হিসেবে অংশ নেয়।
সম্মেলনে বিবৃতিতে খলিলুর বলেন, কনক্লেভের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত পাঁচটি স্তম্ভের গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলের সদস্যদের সমন্বিত নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সিএসসির এসব স্তম্ভ যে ভূমিকা রাখতে পারে, তা বাংলাদেশ স্বীকার করে। মেরিটাইম নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, জলদস্যুতা, অন্যান্য সংঘবদ্ধ মেরিটাইম অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, স্থিতিশীল, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিতের পাশাপাশি অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় হাতে হাত রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুত থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমাদের অঞ্চলের নিরাপত্তা ও ভালো থাকাকে চ্যালেঞ্জ করে থাকে, এমন কোনো বাইরের বা অভ্যন্তরীণ শক্তিতে সুযোগ দিতে পারি না। সেজন্য অভিন্ন সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে পারস্পরিক আস্থা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে অভিন্ন অবস্থান খুঁজে পেতে আমরা প্রস্তুত থাকব।












