আবৃত্তিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রামের বাণী

নতুন কুঁড়ি-২০২৫

আজাদী ডেস্ক | বুধবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ at ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম আবারও পেল নতুন গৌরব। ছোট্ট কণ্ঠে বড় স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সাবিলা সুলতান বাণী জয় করেছে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী শিশুকিশোর প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়ি ২০২৫ এর আবৃত্তি বিভাগে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুকুট। খ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে বাণী শুধু নিজের পরিবার নয়, পুরো চট্টগ্রামকেও আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। পূর্ব বাকলিয়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফজর আলী মুন্সির বাড়িতে বড় হওয়া বাণী বর্তমানে পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অল্প বয়সেই কণ্ঠে পরিণত আবৃত্তির সুর ও কথনভঙ্গি দিয়ে বিচারক ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছে সে। জাতীয় মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে বাণী পেয়েছে নতুন কুঁড়ির চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, সার্টিফিকেট, দুই লাখ টাকার চেক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়ার স্বীকৃতি।

বাণীর এই অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে তার শিল্পী পরিবারের। মা রাবেয়া সুলতান নিজেও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আবৃত্তিশিল্পী। বাবা টিপু সুলতান, দেশের সুপরিচিত সংগঠন ‘ডাক দিয়ে যাই’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি। বলা চলে বাণী শিল্পকে পেয়েছে রক্তের ভেতর, আর পরিবেশ পেয়েছে চর্চার উপযোগী। শিল্পচর্চায় শুধু বাণী নয়, তার বড় বোনও একই আলোয় উজ্জ্বল উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি ও বিতর্কে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। তাই বাণীর সাফল্য যেন পরিবারের শিল্পঐতিহ্যেরই আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায়। নতুন কুঁড়ির জাতীয় মঞ্চে দেশের সেরা হওয়ার পর বাণীকে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ চট্টগ্রামে। স্থানীয় শিক্ষক, শিল্পীরা বলছেনবাণীর সাবলীল উচ্চারণ, আবেগময় পরিবেশন ও আত্মবিশ্বাস ভবিষ্যতে তাকে আরও বড় সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে চলছে অভিনন্দনের ঢল। নিজের সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় বাণী জানায়, আমি আবৃত্তি ভালোবাসি। নতুন কুঁড়ির মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেশসেরা হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সামনে আরও বড় স্বপ্ন দেখছি। একটি ছোট মেয়ে, একটি বড় মঞ্চ আর সেখান থেকে উঠে আসা এক নতুন প্রতিভার গল্প এটি। সাবিলা সুলতান বাণী প্রমাণ করল, নিষ্ঠা আর চর্চার সঙ্গে স্বপ্ন থাকলে বয়স কখনোই বাধা নয়। চট্টগ্রামের এই কন্যার অর্জন ভবিষ্যতের কণ্ঠশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী ও সংস্কৃতিপ্রেমী শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘রুদ্রপ্রীতি’ ভালোবাসা হারানো, আর এক অজানা রহস্যের গল্প
পরবর্তী নিবন্ধআজ অ্যাঁভাগার্ডের ফায়ার