বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু একুশে পদক প্রাপ্ত সদ্য প্রয়াত ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের পেটিকাবদ্ধ ও মহাস্থবির বরণোৎসবে বক্তারা বলেছেন, জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির নিজের জীবনের সবটুকু সময় ব্যয় করেছেন অহিংস সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে। একাজে তিনি নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। সমাজের ধর্মপ্রাণ মানুষের সহায়তায় দেশের সুবিধা বঞ্চিত অনাথ শিশুদের আশ্রম, বৌদ্ধ মন্দির প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রয়াত জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির প্রতিষ্ঠিত পশ্চিম বিনাজুরী শ্মাশান বিহার প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজানের সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা কেন্দ্রীয় ভাইস গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির ছিলেন একজন মানবতাবাদী। বৌদ্ধ গুরুর মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। শতবর্ষী এই বৌদ্ধ গুরুর মত একজন জ্ঞানীর শূন্যস্থান পূরণ করতে আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এই নেতা বলেন, শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ দেশপ্রেমিক যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বেছে বেছে যাদের অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করা করেছে, আজ তাদেরই প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়েছে। দেশের মানুষ ন্যায় বিচার পেয়ে খুশি। এতে আমিও খুশি। তবে এই রায় শুনে মিষ্টি বিতরণ করার পক্ষে আমি নই। ধর্মপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে ও সৈকত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন শাসনান্দ মহাস্থবির। প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন শাসনপ্রিয় মহাস্থবির। মূখ্য আলোচক ছিলেন এস লোকজিৎ মহাস্থবির। বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ধর্মদর্শী মহাস্থবির, জিনালংকার মহাস্থবির, শীলভদ্র মহাস্থবির, বিনয়পাল মহাস্থবির, জিনানন্দ মহাস্থবির, বোধিপাল মহাস্থবির, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, ফিরোজ আহমদ, সাবের সুলতান কাজল, ছোট আজম প্রমুখ। এর আগে সকালের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রিয়দর্শী মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মসেন মহাস্থবির। মূখ্য আলোচক ছিলেন ড. ধর্মকীর্তি মহাস্থবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি অংচিং মারমা, লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, স্বপন কুমার বড়ুয়া, অসীম বড়ুয়া, তুষার কুমার বড়ুয়া, বিদ্যুৎ বড়ুয়া।












