কেউ দেখে শেখে, কেউ আবার মুখস্থ করে শেখে, আবার কেউ উপলব্ধি করে শেখে, কিংবা কেউ আবার বাস্তবতা থেকে শেখে, শিশুরা অনুকরণ করে শেখে। তবে শেখার পদ্ধতি যেমনই হোক না কেন, শিখতে হবে উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে। যেকোনো কিছু শেখার ইচ্ছে নির্ভর করে, যিনি শিখছেন তার উপর। শিশুরা মাতৃগর্ভ থেকেই শিখতে শুরু করে। শিক্ষা প্রতিফলিত হোক এভাবেই।
অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি, দলীয় মতামতভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি, গভীর শিক্ষণ, জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক শিক্ষা পদ্ধতি, যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি এসব পদ্ধতি গুলো শুধুমাত্র শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক নয়। শিক্ষার্থীর বাস্তব জ্ঞান ও চিন্তন দক্ষতাকে বাড়িয়ে যুুগ উপযোগী আধুনিক শিক্ষা অর্জনের কৌশল অবলম্বন করাই শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। শেখার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে এখানে শিখন কার্যক্রম অনেকটাই নির্ভর করে। জ্ঞান পরিবেশন মূলক শিক্ষা পদ্ধতি যা শিক্ষার্থীর কথা, চিন্তা, কাজ ও আচরণের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুনভাবে রূপান্তর করে। যা বিকশিত করে, শিক্ষার্থীর জ্ঞান অন্বেষণের ক্ষেত্রে। বিশ্বায়নের এই যুগে একজন শিক্ষার্থীকে তৈরি করতে হলে, প্রয়োজন সঠিক দিক নির্দেশনা। মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। যা শিক্ষার্থীকে তার ভবিষ্যতের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করতে সহযোগিতা করে এবং শিক্ষার্থী যেন জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে আত্মবিশ্বাসী ও সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে পারে, তা শিখতে পারে। শুধুমাত্র মুখস্থ নির্ভর নয়, শিক্ষার্থী বুদ্ধি ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে, নতুন এক বিশ্ব গড়ে তুলুক। এভাবেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় পৃথিবী। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা প্রতিফলিত হয়ে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠবে।












