চট্টগ্রাম কাস্টমসে সার্ভার সিস্টেমে আবারও ধীরগতি। ধীরগতির কারণে সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সার্ভারের সমস্যার কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রমেও প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একদিকে কাস্টমসের সকল কাজ অটোমেশন করার ওপর জোর দিচ্ছে, অপরদিকে দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সার্ভারের সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান করছে না। এনবিআরের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিবারই নতুন সার্ভার স্থাপনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নের দিকে নজর দেননি। ফলে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত বিরতিতে সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। একসময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দেখা গেছে, যে কাজ এক মিনিটে হওয়ার কথা সেটি করতে পাঁচ মিনিট লাগছে। কাস্টমসে আমদানি–রপ্তানি মিলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পর্যন্ত বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রামে সার্ভারের সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভুগতে হচ্ছে। আজকে (গতকাল) বেশিরভাগ সময় সার্ভার ধীরগতির ছিল। ফলে যে কাজ এক মিনিটে হওয়ার কথা ছিল, সেটির জন্য গড়ে ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমরা সার্ভারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। পৃথিবীর অনেক দেশে এখন অ্যাসাইকুডা সিস্টেম বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তারা নিজস্ব সার্ভারে কাজ করছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের আইসিটি শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যার কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সকালের দিকে সমস্যা কিছুটা বেশি ছিল। তবে বিকালের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সার্ভারের সমস্যার বিষয়ে এনবিআর অবগত আছে। সার্ভারের ইস্যুতে এনবিআরের প্রতিনিধিদল এসে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন।












