রাউজানের নোয়াপাড়ায় গতকাল সোমবার ভোরে পুলিশের এক অভিযানে উদ্ধার হয়েছে দেশি বিদেশি কয়েকটি অস্ত্র। অভিযানে আটক হয়েছে শাহ আলম নামে এক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। সম্প্রতি মদুনাঘাটে বিএনপিকর্মী ও ব্যবসায়ী আবদুল হাকিমকে গাড়ি থামিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তার নাম রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোর রাতে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়ায় অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করার পর তার হেফাজতে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি দেশি এলজি, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, গতকালের অভিযানের শুরুতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসী শাহ আলম পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তার হাতে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল ঘরের পাশের ডোবায় ফেলে দেন। তাকে আটকের পর বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রগুলো। পরে পুলিশ পাম্প লাগিয়ে ডোবার পানি সেচ দিয়ে উদ্ধার করে বিদেশি পিস্তল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী শাহ আলম হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। জানা যায়, গতকালের অভিযানের আগে পুলিশ শহর থেকে পলোয়ান পাড়া এলাকার সন্ত্রাসী লেদা মিয়া প্রকাশ গুরাইয়াকে গ্রেফতার করেছিল।
পুলিশের বক্তব্য, গ্রেফতার শাহ আলম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সাথে। থানার নথিতে তার বিরুদ্ধে মোট নয়টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র এবং গ্রেপ্তার করা আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রুজু করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ৭ নভেম্বর একই ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়ার পার্শ্ববর্তী চৌধুরীহাট বাজারসংলগ্ন আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়ির পেছনে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছিল বিপুল সংখ্যক অস্ত্র–গুলি। ওই অভিযানে পুলিশ একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি শটগান ও সাতটি গুলি উদ্ধার করেছিল। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে ছিল গত বছরের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট করা অস্ত্রও। এর আগে ৩০ অক্টোবর ওই ইউনিয়নের সাবেক এক চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছিল বিপুল সংখ্যক অস্ত্র।












