বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে স্বচ্ছতার সাথে

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে বক্তব্য

| সোমবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ at ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়ার চরে ডেনমার্কের কোম্পানিকে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য এবং পানগাঁও টার্মিনাল সুইজারল্যান্ডের কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার অযৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল রোববার নগরীর সিনেমা প্যালেস চত্বরে বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক অ্যাড. শফিউদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির জেলা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভুঁইয়া, বাসদ জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয় ও বাসদ জেলা সদস্য জসিম উদ্দিন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সর্বশেষ ভাষণে বলেছিলেন, সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার ও যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজন। অথচ আমরা দেখছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টার বর্ণিত এ তিনটি প্রধান কাজের বাইরে এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সন্দেহজনক তাড়াহুড়া, অনিয়ম এবং গোপনীয়তার মাধ্যমে লালদিয়া কন্টেনার টার্মিনাল ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএমের কাছে ৪৮ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রথা ভেঙে আয়োজিত একনেক সভায় একইসাথে লালদিয়া কন্টেনার টার্মিনাল এবং পানগাঁও কন্টেনার টার্মিনাল নিয়ে চুক্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনে এভাবে অনুমোদন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।বক্তারা বলেন, এ চুক্তি অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়নি এবং অস্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর সাথে বন্দর ব্যবহারকারীদেরকে কোনোভাবেই যুক্ত করা হয়নি। সরকারের এত তাড়াহুড়া, গোপনীয়তা জনগণের মনে ব্যাপক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কয়েকদিন আগে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বললেন, আমরা স্বাধীনতার এত বছরেও কোনো জাতীয় পোর্ট স্ট্র্যাটেজিক পলিসি তৈরি করতে পারিনি। এখন সরকার তা তৈরি করছে। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, আপনি সে পলিসি তৈরি করুন। তা তৈরির আগে কেন এত তাড়াহুড়া করে বিদেশিদের লিজ দিতে হচ্ছে? চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে স্বচ্ছতার সাথে। বন্দরের মতো কৌশলগত সম্পদ নিয়ে চুক্তি করার আগে চুক্তির শর্ত প্রকাশ করতে হবে, রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও জনগণের সম্মতি লাগবে। আগামী নির্বাচনে যে সংসদ গঠিত হবে সেখানে ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে। তার আগে বন্দর ইজারার কোনো চুক্তি করা যাবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাইজভাণ্ডারী মহাত্মাগণ আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় মানুষের কল্যাণে উৎসর্গীত হন
পরবর্তী নিবন্ধরেলের সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা