অন্তর্বর্তী পরিচালনা পর্ষদ বা অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়া বেসরকারি স্কুল–কলেজের সভাপতি পদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা তার প্রতিনিধি এবং জেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। খবর বিডিনিউজের।
বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ও নিয়মিত কমিটি গঠনে আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বেতনভাতা ছাড় করা এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ সারতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী গতকাল রোববার বিকালে বলেন, যেসব অ্যাডহক কমিটি এখনও বহাল আছে, তারা নিজেদের কাজ করবে। আর যেসব কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে বা হবে, সেগুলোতে দৈনন্দিন কাজ সারতে এবং বেতনভাতার বিলে সই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বা তাদের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভাপতি পদের দায়িত্ব কতটুকু হবে, তা উল্লেখ করে বোর্ড নির্দেশনা দেবে। শনিবার বোর্ডগুলোতে পাঠানো নির্দেশনাটি রোববার প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল–কলেজের নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ বা কমিটি গঠনের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল গত ৩০ অক্টোবর, তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অ্যাডহক কমিটি ১ ডিসেম্বর বাতিল হবে জানিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বেসরকারি স্কুল–কলেজের নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর পরিপত্র জারি করেছিল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এর আগে গত ৩১ অগাস্ট গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সংশোধনী অনুযায়ী, বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে প্রার্থীর ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।












