‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকার প্রতি সুদৃঢ় প্রবাসীদের ভালোবাসা প্রকাশ পায় তাদের নিয়মিত লেখালেখি, সংবাদ সংগ্রহ এবং পত্রিকাটির মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও উন্নয়নের প্রতি তাদের গভীর অনুরাগের মধ্য দিয়ে। প্রবাসীরা এই পত্রিকাটি ব্যবহার করে নিজেদের শেকড়ের সাথে যুক্ত থাকে এবং মাতৃভূমির খবর ও ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকে, যার ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়।
প্রবাসীরা ‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকার মাধ্যমে নিজ দেশ, জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রামসহ চট্টগ্রামের সবখবর জানতে পারে, যা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিচিতির সাথে যুক্ত থাকতে সাহায্য করে। অনেক প্রবাসী তাদের লেখালেখি ও সাহিত্যকর্ম ‘দৈনিক আজাদী’–তে প্রকাশের সুযোগ পায়, যা তাদের সাহিত্যিক বিকাশে সহায়তা করে।
পত্রিকাটি চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের স্থানীয় উন্নয়ন, অর্থনীতি, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সাহিত্য এবং সামাজিক বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে, যা প্রবাসীদের নিজ অঞ্চলের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসা বাড়ায়। প্রবাসীরা নিজের রক্ত আর ঘাম পানি করে নীরবে নিভৃতে পরিবার পরিজন ছেড়ে সুদূর প্রবাস যাপন করেন সামান্য সচ্ছলতার জন্য। আবার এই প্রবাসীরা প্রবাসে কঠোর পরিশ্রম আর একাকীত্ব জীবন যাপন করে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার পাশাপাশি দেশের আঞ্চলিক পত্রিকার প্রতি অনেক গভীর সম্পর্ক বিরাজ করে। যেহেতু আজকাল প্রবাসে বাংলাদেশের তথা চট্টগ্রামের পত্রিকা সচরাচর আগের তুলনায় কম দেখা গেলেও কিন্তু অনলাইন বা ই–পত্রিকার পাঠের মাধ্যমে ত্বরিৎ সব খবরা খবর জানতে পারে প্রবাসীরা আর এইক্ষেত্রে দৈনিক আজাদী প্রায়শই এই প্রবাসী কর্মকাণ্ড এবং তাদের ত্যাগকে তুলে ধরে তাদের সাহায্য, প্রেরণা, প্রবাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবর প্রকাশ করে সম্মান প্রদর্শন করে, যা প্রবাসীদের মধ্যে সংবাদপত্রটির প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, প্রবাসীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সংবাদপত্র বিশেষ ধরনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদেরকে উদযাপন করে এবং দেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা তুলে ধরে।
পত্রিকাটি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের গুরুত্ব এবং দেশে তাদের হয়রানির শিকার হওয়ার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরে, যার ফলে প্রবাসীরা মনে করেন তাদের সুখ–দুঃখের কথা বলার একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম আছে।
আজাদী শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ‘ভালোবাসার অনন্য আবাসস্থল’ এবং একটি আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। প্রবাসীরাও এই ঐতিহ্যের অংশ মনে করেন এবং কমিউনিটির বিভিন্ন আয়োজনে বা কার্যক্রমে আজাদীর সংবাদ পরিবেশিত হয়। অনেক প্রবাসী পাঠকের কাছে দৈনিক আজাদী হলো ‘হারানো বন্ধুকে ফিরে পাওয়ার’ মতো। ইন্টারনেটের যুগে আজাদীর অনলাইন সংস্করণ প্রবাসীদেরকে দেশের সাথে সংযুক্ত থাকতে এবং প্রতিদিনের রুটিন হিসেবে পত্রিকা পড়তে সাহায্য করে, যা এক ধরনের মানসিক শান্তি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে।
মূলত, দৈনিক আজাদী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও প্রবাসীদেরকে দেশের মাটি ও মানুষের সাথে একাত্ম করে রাখে, যা এই ভালোবাসার মূল ভিত্তি।












