জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২৭তম আসরের চতুর্থ রাউন্ডে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭১ রান করেছে ময়মনসিংহ বিভাগ। ময়মনসিংহের দুই ব্যাটার আইচ মোল্লা ও অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরির জোড়া হাফ–সেঞ্চুরি করেন। সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রান তুলতেই দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিনকে হারায় ময়মনসিংহ। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টায় উইকেটে সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে তিনি ৩৬ রান করেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি অভিজ্ঞ আব্দুল মজিদও। তিনি ১৭ রানে আউট হন। পাশাপাশি মিডল অর্ডার আল আমিন জুনিয়র ৪ রানে আউট হলে ১০৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ময়মনসিংহ। চাপে পড়া ময়মনসিংহকে টেনে তুলেন মোল্লা ও শুভাগত। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়ে দলের রান ২শ পার করেন তারা। হাফ–সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে দু’জনই ফর্মে থাকা চট্টগ্রামের স্পিনার নাইম হাসানের শিকার হন। ৬টি করে চারে মোল্লা ৬৫ ও শুভাগত ৫৪ রান করেন।
নাইমের ঘূর্ণিতে ১১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনই গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে ময়মনসিংহ। ৭০তম ওভারে ২১৩ রানে অষ্টম উইকেট হারায় তারা। ময়মনসিংহ প্রতিরোধ গড়ে তোলে লোয়ার অর্ডারেও। নবম উইকেটে দিনের শেষ ১২২ বলে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৫৮ রান যোগ করেন আরিফ আহমেদ ও মারুফ মৃধা। আরিফ ৩৬ ও মারুফ ২২ রানে অপরাজিত আছেন। চট্টগ্রামের নাইম ৭৭ রান দিয়ে ৩টি ও ইরফান হোসেন ৬০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ফাহাদ, রুবেল এবং আশরাফুল।












