রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক সেনাবাহিনীর সৈনিক পদ থেকে চাকরি হারানোর পর ‘নেশাগ্রস্ত’ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে এজাহারে সই করে ১৬ বছর বয়সি ছেলের লাশ নিয়ে জামালপুরের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন আব্দুর রহমান। পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি ৩৪ বছর বয়সি লিমন মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। খবর বিডিনিউজের।
গাজিউর রহমান বলেন, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদনেরপাড়া ভবানীগঞ্জ গ্রামের এইচ এম সোলাইমান শহীদের ছেলে লিমন সেনাবাহিনীর সাবেক সৈনিক। ২০১৮ সালে চাকরি হারানোর পর নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কয়েক বছর আগে বিয়ে করলেও সংসার ভেঙে যায়। বিচারক আব্দুর রহমানের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীর সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল এবং তার কাছ থেকে টাকা নিতেন লিমন। টাকা বন্ধ হয়ে গেলে ব্ল্যাকমেইল ও হুমকি দিতেন। এ ঘটনায় তাসমিন ৬ নভেম্বর সিলেটের জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
তিনি বলেন, আব্দুর রহমান এক বছর আগে রাজশাহীতে শ্রম আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পান। অক্টোবরে তাকে মহানগর দায়রা জজ করা হয়। তিনি নগরের ডাবতলা এলাকায় স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে তাওসিফকে নিয়ে থাকতেন।












