ভোরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী

মার্কেটে শুরু হয়েছে শীতবস্ত্র বিক্রি

জাহেদুল কবির | শনিবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

বাংলা বর্ষপঞ্জিতে পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে অগ্রহায়ণ মাস। সেই হিসেবে শীত ঋতুর বাকি আছে আরো এক মাসের মতো। তবে বর্তমানে ভোরের দিকের হিমেল হাওয়া শীত ঋতুর উপস্থিতিই যেন জানান দিচ্ছে। বিশেষ করে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলেই এই অনুভূতিটা বেশি। তাই ভোর রাতের দিকে গ্রামের কথা বাদ দিলে এমনকি শহরাঞ্চলেও কম্বলের মানুষের সাথে সখ্যতা যেন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এছাড়া শীতের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বর্তমানে মার্কেটগুলোতেও শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু হয়েছে।

নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, টেরিবাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমন্ডি লেইন ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দোকান ও শোরুমের কর্মচারীরা শীতের কাপড় থরে থরে সাজাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া ক্রেতারাও এসে পছন্দের পণ্যটি দরদাম করছেন। পছন্দ হলেই কিনে নিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়াতে দেখা যায় অনেককে। রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিক্রেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, শীত এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। তাই খুচরা বিক্রির চেয়ে পাইকারি বিক্রি বেশি এখন। বিভিন্ন উপজেলা থেকে দোকানিরা এসে শীতের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রিয়াজুদ্দিন বাজারে আসা আবির হোসেন বলেন, শীতের সুয়েটার কিনতে এসেছি। শীত যদিও এখনো শুরু হয়নি। তবে মার্কেটগুলোতে প্রথমদিকে ভালো ভালো কিছু কালেকশন থাকে, তাই মূলত আসা।

জহুর হকার্স মার্কেটে কম্বল কিনতে এসেছেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ইমতিয়াজ জাবেদ। তিনি বলেন, জহুর মার্কেটে কম দামে ভালো মানের কম্বল পাওয়া যায়। তবে বিক্রেতা দাম একটু বেশি হাঁকছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটে চীনা তৈরি ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। এছাড়া চামড়ার তৈরি জ্যাকেট ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে চীনা কম্বল আকারভেদে এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশীয় শাল ও চাদর বিক্রি করছেন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। বিদেশি ভালো মানের শাল ও চাদরের দাম পড়ছে ৮০০ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে। ভালো মানের সুয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায় এবং উলের তৈরি সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।

জহুর হকার্স মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, শীতের কাপড়ের ব্যবসা মৌসুমী ব্যবসা। যদি কোনো কারণে শীতের প্রকোপ কম থাকে, তবে শীতের কাপড়ের বেচাবিক্রি কমে যায়। তবে প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও আমাদের ব্যবসায়ীরা শীতের নতুন নতুন কাপড়ের সংগ্রহশালা নিয়ে এসেছেন। ফলে মার্কেটে ক্রেতারা দেখে শুনে পছন্দের কাপড় কিনতে পারবেন। জহুর হকার্স মার্কেট এখন কেবল মধ্যবিত্তদের মার্কেট নয়। অনেক উচ্চবিত্ত লোক এখন জহুর হকার্স মার্কেট থেকে কেনাকাটা করছেন। এছাড়া শীতকে কেন্দ্র করে মার্কেটের আশপাশে বিশেষ করে ফুটপাতেও শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়েছেন হকাররা।

তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, এ বছর ব্যবসায়ীরা অনেক আশা নিয়ে শীতের কাপড় আমদানি করেছেন। আমাদের মার্কেটে পাইকারি ও খুচরা দুইভাবে বিক্রি হয়। বর্তমানে পাইকারি বিক্রির চাপ বেশি। খুচরাতেও বিক্রি হচ্ছে। পুরোদমে বিক্রি শুরু হতে আরো দুই তিন সপ্তাহ লাগতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসিনার বিচারের রায় ঘিরে বিশৃঙ্খলা হলে ঠেকাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল নয় : খসরু
পরবর্তী নিবন্ধজুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে অনেক অস্পষ্টতা দেখছে এনসিপি