হাসিনার বিচারের রায় ঘিরে বিশৃঙ্খলা হলে ঠেকাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল নয় : খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণা ঘিরে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তা ঠেকানোর দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা তো ঠেকাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই দায়িত্ব তো কোনো রাজনৈতিক দলের না। আমাদের আস্তে আস্তে এই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। সুতরাং যাদের দায়িত্ব তাদের পালন করা ভালো।

তিনি গতকাল দুপুরে নগরে অনুষ্ঠিত একটি মেডিকেল সামিট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ‘আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায় দেবে। এ রায় এবং রায় ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বিএনপির কোনো পরিকল্পনা আছে কী না?

এসময় খসরু বলেন, বিচার করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের। এটা ওদের ওপর ছেড়ে দেন। আমরা একটা নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ চেয়েছিলাম। আশা করি বাংলাদেশে, ইতোমধ্যে একটা নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। আগামী দিনে এটাকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়ার চর ৩০ বছরের জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার বিষয়টি বিএনপি কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে খসরু বলেন, যারা করেছে এর উত্তর তারা দিতে পারবে। এ মুহূর্তে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। তিনি বলেন, আমরা একটা রাজনৈতিক ট্রানজিশনের দিকে যাচ্ছি, গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনের দিকে দেশ যাচ্ছে, নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, গণতন্ত্রায়নের দিকে যাচ্ছি, সেদিকে হচ্ছে আমাদের মূল ফোকাস।

এসময় জামায়তে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরএর ‘অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন’ বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, এটার উত্তর উনি বলতে পারবেন, আমি বলতে পারব না। উনি কেন বলেছেন, সেটা উনি ভালো বলতে পারবেন।

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে আজকে জনগণের সবচেয়ে বড় চাহিদা একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। সেটা সম্ভব একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। আজকে সবাই ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, একটি সংসদ গঠন ও একটি সরকার গঠন হবে ভোটের মাধ্যমে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। এই বিষয়টা বাংলাদেশে গত ১৫১৬ বছর ধরে অনুপস্থিত। তাই বাংলাদেশের মানুষের এ মুহূর্তে প্রধান চাহিদা একটা উৎসবমুখর নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় নির্বাচনকে সামনে রেখে, তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেন উৎসবের সাথে। বাংলাদেশের মানুষ সেই অপেক্ষায় আছে। অন্য কোনো ছোটখাট বিষয় নিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করে লাভ নেই।

গণভোঠ ও গণভোটের চারটি অপশন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, গণভোটে আমরা রাজি আছি। গণভোটের সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশের অভিযান, ৩৫ ককটেল-সরঞ্জাম জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধভোরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী