বৃহত্তর সুন্নী জোট–চট্টগ্রাম জেলা ১৩ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দিয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর (শনিবার) দুপুর ২টায় লালদীঘি ময়দানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে জনসভা প্রস্তুতিমূলক কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা আবদুন নবী আল কাদেরী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন ভূইয়া, অধ্যাপক মীর আব্দুর রহীম মুনিরী এইচ, এম মুজিবুল হক শাকুর, আলী হোসাইন, মাওলানা এম ওয়াহেদ মুরাদ।
লিখিত বক্তব্যে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন করা, জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোটের আয়োজন করা, রাষ্ট্রীয় সংলাপে সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, নির্বাচনের আগে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা, দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক ও দণ্ডিতদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, জুলাই বিপ্লব ও পরবর্তী সময়ে সংগঠিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা, পার্বত্য জেলায় বিদেশি মদদপুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা, আরাকান আর্মিকে করিডোর না দেয়া, মাজার মসজিদে হামলাকারীদের বিচার ও মাজার, খানকা, দরবার শরীফ এবং ধর্মীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা রক্ষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ করা, গণ–মাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন সময়ে দল নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৫ নভেম্বর সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ এম মঈনউদ্দিন চৌধুরী হালিম এবং এম নাছির উদ্দীন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মাওলানা করিম উদ্দিন নুরী, মাওলানা মুজাম্মেল হোসেন, মুহাম্মদ আলম রাজু, আলমগীর ইসলাম বঈদী, কবি জসিম উদ্দীন মাহমুদ, ডা. হাশমত আলী তাহেরী, ছৈয়দ মিজানুর রহমান, হাবিবুল মোস্তফা ছিদ্দিকী, মুহাম্মদ এনামুল হক, এস.এম. আবু ছাদেক ছিটু, মঈন উদ্দিন সঞ্জরী, মাওলানা ইসমাইল সিরাজী, মহিউদ্দীন, সৈয়দ মিজানুর রহমান, ফয়সাল, গিয়াস উদ্দিন কাদেরি, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও জোটের শরীকদল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও সুপ্রিম পার্টির জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।











