নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ব্যাংক থেকে তোলা এক ব্যবসায়ীর নগদ ৩৬ লাখ টাকা এবং ৫৫ লাখ টাকা দামের টয়োটা কোম্পানির ‘করোলা ক্রস’ গাড়িসহ পালিয়েছে ড্রাইভার। গতকাল দুপুরে নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের এনআরবিসি ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাড়ির চালক মোহাম্মদ নুরন্নবীকে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নগরীর কদমতলী এলাকার ইকুইপমেন্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ই এল কর্পোরেশনের মালিক আবু এরশাদ গতকাল সকালে বায়েজিদের ইস্ট ডেল্টা ইউনির্ভাসিটির পার্শ্বস্থ শ্যামল ছায়া আবাসিক এলাকার বাসা থেকে নিজের জিপ গাড়ি নিয়ে বহদ্দারহাটে ব্র্যাক ব্যাংকে যান। চালক মোহাম্মদ নুরুন্নবী গাড়ি চালিয়ে আবু এরশাদকে বহদ্দারহাট নিয়ে যান। ব্যবসায়িক লেনদেন সামলাতে আবু এরশাদ ব্র্যাক ব্যাংক বহদ্দারহাট শাখা থেকে নগদ ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। টাকাগুলো নিয়ে তিনি আরো কিছু টাকা উঠানোর জন্য আগ্রাবাদের এনআরবিসি ব্যাংকের সামনে যান। গাড়িতে টাকাগুলো রেখে এনআরবিসি ব্যাংকে যান এবং টাকা উঠিয়ে কিছুক্ষণ পরই নিচে এসে দেখেন যে, তার ২০২৩ মডেলের নতুন কেনা করোলা ক্রস জিপ গাড়ি (চট্টমেট্রো– ঘ ১১–৬২৬০) ওখানে নেই। তিনি ধারে কাছে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। তিনি ড্রাইভার নুরুন্নবীর মোবাইলে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ড্রাইভারের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি নিশ্চিত হন যে, নগদ ৩৬ লাখ টাকাসহ ড্রাইভারই গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। তিনি ঘটনার ব্যাপারে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর–৬(১১)/২৫।
ড্রাইভার নুরুন্নবী কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার নাওগোদা গ্রামের মোহাম্মদ কবির আহমদের পুত্র। কবির আহমদও ব্যবসায়ী আবু এরশাদের একজন আত্মীয়ের গাড়ি চালান। মোহাম্মদ নুরুন্নবী স্ত্রী এবং দুই বছরের একটি সন্তান নিয়ে নগরীর বায়েজিদের চন্দ্রনগর এলাকায় বসবাস করেন।
ডবলমুরিং থানা পুলিশ ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেছে, টাকা ও গাড়ি উদ্ধার এবং ড্রাইভারকে গ্রেপ্তারের জন্য এসআই ঈমানের নের্তেৃত্বে একটি টিম কাজ শুরু করেছে। অচিরেই আসামি ধরা পড়বে বলেও পুলিশ আশাবাদ ব্যক্ত করে।











