নগরীর দুই নম্বর গেটের চশমা হিল এলাকায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসবভনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন ৭ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাসভবনটির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিভিআর বক্স জব্দ করা হয়। গতরাত ৯টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই–বাছাই করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (আজ) কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাসভবনটিতে কিছু লোক জড়ো হচ্ছেন এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় বাসভবনটিতে অভিযান পরিচালিত হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান আজাদীকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট নজরে পড়েছে। যেটিতে বলা হচ্ছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘিরে মহিবুলের বাসভবনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। যারা জড়ো হচ্ছেন–তাদের জন্য বাইরে থেকে খাবার আসছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের টিম সেখানে যায়। তবে সেখানে সে ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, ২ নম্বর গেট এলাকায় মহিবুল হাসানের ছোট ভাই বোরহান ও বিএনপি নেতা নিয়াজ ‘ক্যাফে মিলানো’ নামে একটি রেস্তোরাঁ পরিচালনা করতেন। সেটি গত বছরের ৫ আগস্টের পর বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে ফুডপান্ডার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি খাবার বিক্রি করছেন। বাসভবনটি থেকে আমরা যে ৭ জনকে আটক করেছি তারা ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন। সে ধরনের তথ্যও পাওয়া গেছে। আমরা তাদের বিষয়ে যাচাই–বাছাই করছি। যাচাই–বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।












