জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ অবদান রাখায় লন্ডনে সফররত সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে লেটার অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রদান করেছে চট্টগ্রাম সমিতি লন্ডন। গত ৯ নভেম্বর লন্ডনের চাটগাঁ হাউজে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মাত্র ১ বছরে চট্টগ্রাম নগরীর ৩০ বছরের দীর্ঘ জলাবদ্ধতা নিরসনে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ সময় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ছিল জলাবদ্ধতা। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমি জলাবদ্ধতা নিরসনকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। মাত্র এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৩০ বছরের পুরনো এ সমস্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পেরেছি। খননের বাইরে থাকা নগরীর ২১টি খাল সংস্কারের মাধ্যমে জলপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পারলে এবং নিয়মিত খাল–নালা পরিষ্কার করার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে পারলে চট্টগ্রামকে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা মুক্ত করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমি সব সংস্থাকে নিয়ে কাজ করছি। চট্টগ্রাম সমিতি লন্ডনের পক্ষ থেকে পাওয়া এই লেটার অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন আমার একার নয়, এটি পুরো চট্টগ্রামবাসীর স্বীকৃতি।
আমি বিশ্বাস করি, নগর উন্নয়ন কেবল ড্রেন নির্মাণ বা সড়ক সংস্কারে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের সমাজে নিরাশ্রয় ও অসহায় প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি আধুনিক বৃদ্ধাশ্রম ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এখন সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আমরা বহু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি, কিন্তু প্রবীণদের জন্য এখনো কোনো নিবেদিত আশ্রয়কেন্দ্র নেই–এটি একটি শূন্যতা, যা আমাদেরই পূরণ করতে হবে।
মেয়রের এই আহ্বানে চট্টগ্রাম সমিতি লন্ডন এ বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে। তারই প্রেক্ষিতে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জমি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। সেখানে চসিক এবং চট্টগ্রাম সমিতি লন্ডনের যৌথ উদ্যোগে একটি আধুনিক বৃদ্ধাশ্রম ও হেলথ কেয়ার সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম সমিতি লন্ডন ফান্ড রেইজের প্রতিশ্রুতি দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতি লন্ডনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মৌসুমি আফরিন চৌধুরী জয়াসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












