ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রাণঘাতী গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত ‘সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবেলায় ব্যবহার করা একটি কঠোর আইনের অধীনে শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এ ঘটনায় দোষীদের কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই আইনটি বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন নামে পরিচিত। এটি ভারতের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী আইন। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী তৎপরতা এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার করতে এ আইনটি ব্যবহার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লাল কেল্লার কাছে এই বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২০ জন আহত হন। অত্যন্ত কড়া প্রহরাধীনে থাকা রাজধানী শহরটিতে এটি একটি বিরল বিস্ফোরণের ঘটনা। এ ঘটনার জেরে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।
গতকাল ভুটান সফরের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আজ আমি ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এখানে এসেছি। কাল সন্ধ্যায় দিল্লির ভয়াবহ ঘটনা আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। কাল সারারাত আমি সব কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। তদন্তে পাওয়া তথ্য নিয়ে আলোচনা চলছিল। আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলো এই চক্রান্তের শিকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এর জন্য দায়ী, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত সোমবার জানান, ‘সবগুলো দিক’ বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে আর নিরাপত্তা সংস্থাগুলো শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছবে।
লাল কেল্লার কাছে পুরান দিল্লির একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে ব্যস্ত সড়কে বিস্ফোরণের এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ধীর গতিতে চলা একটি গাড়ি এক ট্র্যাফিক সিগন্যালে গিয়ে থামার পর সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে আশপাশের অন্তত ২০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের পর নিহতদের ছিন্নভিন্ন দেহ ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলোর টুকরোটাকরা ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে থাকে।










