ইংল্যান্ড থেকে সোমবার বেলা ১২টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল হামজার। ফ্লাইট মিস করায় তিনি পৌঁছান দেরিতে। সেখান থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দলের ক্যাম্পে যোগ দেন লেস্টার সিটির এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। টিম হোটেল থেকেই ভিডিও বার্তায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। সিলেটি ভাষায় বলেছেন– ইনশাআল্লাহ, ভারতের সঙ্গে জিতমু। আগামী বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় ফিরেছেন হামজা। ফুল দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বাফুফের কর্মকর্তারা। দলে যোগ দিয়ে খুশি হামজা, তবে বাছাইয়ে দলের সামগ্রিক ব্যর্থতায় হতাশার কথা আড়াল করলেন না তিনি। চার ম্যাচে দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে ভারত। এই দুই দলেরই বাছাই পেরুনোর আশা শেষ হয়ে গেছে তৃতীয় রাউন্ডের পর। গ্রুপ পর্বে বাকি ম্যাচগুলো তাই নিয়মরক্ষার হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। তবে ফিরতি লেগে এবারের প্রতিপক্ষ ভারত বলেই বাড়তি রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছেন হামজা। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচেই লাল–সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল তার। দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিনি এবার খুব করে জিততে চান। ‘দারুণ অভ্যর্থনা পেলাম। আবারও ঢাকায় ফিরে আসতে পেরে খুশি লাগছে। ভারতের সাথে ম্যাচ হবে, এর আগে নেপালের সাথে একটা ওয়ার্ম–আপ (প্রীতি ম্যাচ) ম্যাচ হবে, সবাইকে ইতিবাচক থাকতে হবে। সবশেষ ম্যাচে আমরা জিততে পারিনি, কিন্তু উন্নতি দেখিয়েছি। ইনশাআল্লাহ ভারতের সঙ্গে আমরা জিতমু। দেশের জন্য এটা বড় ম্যাচ। আমরা সবাই রোমাঞ্চিত।’












