থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তের কাছে সাগরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর থেকে শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কেদাহ ও পার্লিস রাজ্যের সামুদ্রিক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ফাস্র্ট অ্যাডমিরাল রমলি মুস্তফা গতকাল রোববার জানান, তিন দিন আগে জলযানটি সাগরে ডুবে যায়। খবর বিডিনিউজের।
এটি মিয়ানমারের বুথিডং থেকে ছেড়ে এসেছিল। তবে এখনও আরও ভুক্তভোগীকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বার্নামা কেদাহ রাজ্যের পুলিশ প্রধান আদজলি আবু শাহকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, জীবিত ১০ জনকে মালয়েশিয়ার ল্যাঙ্কাউই দ্বীপের উপকূলে পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন মিয়ানমারের নাগরিক, যাদের মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা; অপর একজন বাংলাদেশের নাগরিক। উদ্ধার করা মৃতদেহটি একজন রোহিঙ্গা নারীর। মিয়ানমারের মুসলিম প্রধান সমপ্রদায় রোহিঙ্গাদের অনেকে প্রায়ই সমুদ্রপথে বৌদ্ধ প্রধান দেশটি থেকে পালাতে বাধ্য হয়। মিয়ানমারের সরকার দেশটির রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না।
তাদের দক্ষিণ এশিয়া থেকে আগত বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্রমাগত নির্যাতন করে আসছে। বার্নামার দেওয়া উদ্ধৃতিতে আদজলি বলেছেন, মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া প্রায় ৩০০ জন প্রথমে একটি বড় জলযানে ছিল, কিন্তু তারা সীমান্তের কাছাকাছি আসার পর তাদের তিনটি ছোট নৌকায় তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নৌকাগুলোর প্রতিটিতে প্রায় ১০০ জন করে আরোহী ছিলেন। কর্তৃপক্ষ যেন শনাক্ত করতে না পারে তার জন্য এমনটি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। একটি ডুবে যাওয়ার পর অপর দুটি নৌকার কী হয়েছে তা জানা যায়নি। একটি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে আদজলি জানিয়েছেন।










