নির্বাচন না হওয়ায় সবকিছু স্থবির হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের সব সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত। সেটা বিনিয়োগ হোক, ব্যবসা–বাণিজ্য হোক, মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্ত হোক। সবার কথা, ভাই নির্বাচনটা হয়ে যাক, তারপর আমরা এগুলো করব। সবকিছু স্থগিত, স্থবির। একটা দেশ কি এভাবে চলতে পারে? এরপরে যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, যারা বিলম্বিত করতে চায়, তারা কি গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ? বিশ্বাস করা যায় আসলে কি ওদের মনের মধ্যে গণতন্ত্র আছে? না অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এই দলগুলো রাজনীতির মাঠে নেমেছে? খবর বিডিনিউজের।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের ক্রাইম রিপোর্টার্স মিলনায়তনে গতকাল রোববার এক গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে একটি সংবিধান আছে, যে সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। এই সংবিধানে গণভোটের কোনো প্রভিশন নাই, কোনো অপশন নাই। সুতরাং আমাকে সংবিধান মানতে হবে। হ্যাঁ, গণভোট সবসময় হয়, যেটা আপনি জনগণের মতামত নিয়ে সংসদে পাস করবেন অথবা সংসদে কিছু পাস করবে জনগণের মতামত নেন নাই। ওটা পাস করার পরে আপনি গণভোটে যেতে পারবেন। এই যে গণভোট আগে করা নিয়ে কথা হচ্ছে। গণভোট আগে না নির্বাচনের দিনেও করা এই সংবিধানে অ্যালাউ করে না। সংসদে পাস হওয়ার আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, তারপরও বিএনপি খুব উদার হয়ে শুধু যাতে দেশে সহনশীল একটা রাজনীতি থাকে, দেশে পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ থাকে, যাতে দেশের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, দেশের মধ্যে সাংঘর্ষিক কিছু না হয়; আমরা সবকিছু মাথায় রেখে উদার হয়ে তা–ও নির্বাচনের দিন রাজি হয়েছি। এটা বিএনপির উদারতা।
খসরু বলেন, আর দ্বিতীয় কথা বলি, যেখানে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে, দ্বিমত পোষণ করার অর্থ হচ্ছে ঐকমত্য হয় নাই। যে বিষয় ঐকমত্য হয়নি সেটা গণভোটেও যেতে পারে না। তা–ও আমরা রাজি হয়েছি ঠিক আছে। দ্বিমত পোষণ করা দিয়ে গণভোটে যাই। ওটাও কিন্তু বিএনপির উদারতা। কারণ বিএনপি একটি সহনশীল রাজনীতি চায়, বিএনপি দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা চায়, অপরের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও আমরা তাদের প্রতি সম্মান জানাতে চাই। এর উদ্দেশ্য আমরা গণতান্ত্রিক স্পিরিটটা রাখতে চাই।











